পরকীয়ার জের ধরে ২২ দিনের শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা করে মা ও পরকীয়া প্রেমিক। এ ঘটনায় সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ চিথলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিরপুর থানা পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলেন- পোড়াদহ চিথলিয়া এলাকার পরকীয়া প্রেমিক সেরেবুল ইসলাম, মা মিতা খাতুন, চাচা সাইদুল ইসলাম ও ভাবি চাঁদনী খাতুন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর কুষ্টিয়া জেলার খলিসাকুন্ডি এলাকায় রাজু নামের এক ছেলের সঙ্গে মিতা খাতুনের বিয়ে হয়। মিতা খাতুন বিয়ের আট মাস পরে জান্নাতি (২২ দিন) বয়সী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। ছোট শিশুটিকে নিয়ে রাজু ও মিতার মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকদ। ঝগড়ার কারণে মিতা সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়ি চিথলিয়া চলে আসে। মিতা বাড়িতে আসলে তখন শিশুর বাবা ও মিতার পরকীয়া প্রেমিক মিতার চাচাতো ভাই শেরেবুলের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। পরবর্তীতে মিতা ও শেরেবুল বাচ্চাটিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ২৫ মে মেয়েটিকে হত্যা করে সেরেবুল ও মিতা তাকে পার্শ্ববর্তী বরিশাল খালে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় শেরেবুলের পিতা ও তার ভাবি শিশুটিকে হত্যায় সহায়তা করে। হত্যা করে তারা অপপ্রচার করতে থাকে খলিসাকুন্ডি থেকে মিতার স্বামী রাজু বাচ্চাটি চুরি করে নিয়ে গেছে। হত্যার পর ২৫ মে রাতে শিশুর মা মিতা খাতুন মিরপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তাৎক্ষণিক মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। গত কয়েকদিন ধরে মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত ও বাচ্চার মাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদে সর্বশেষ ২৯ মে সকালে তার মা ঘটনার বিষয়ে স্বীকার করে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার মিরপুর থানার (ওসি) মমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আব্দুল আজিজ ও মামলা তদন্তকারী অফিসার সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে শিশুটির মা মিতা খাতুনের স্বীকারোক্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তার করে তাদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা জিকে খাল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করি। আসামিদের কাল (আজ শুক্রবার) জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।