ঈদে পশু কোরবানির পর বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে চামড়া সংগ্রহ করেন স্থানীয় মৌসুমি ব্যবসায়ী ও মাদ্রাসা-এতিম খানার শিক্ষার্থীরা। পরে চামড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে পাচার রোধে সাতক্ষীরার ২৭৮ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছেন বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের তথ্যানুসারে, বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান ও কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সাতক্ষীরা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। চোরাকারবারিরা পশুর চামড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করতে না পারে সে জন্য সীমান্তে সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে বিজিবি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরাও নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
এদিকে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারি একাধিক ব্যক্তিরা জানায়, সীমান্ত এলাকায় প্রায় ৩০টি চোরাই ঘাট নিয়ন্ত্রণ করে একাধিক সিন্ডিকেটের সদস্যরা। তবে বিজিবির মতে, চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে সিন্ডিকেট সদস্যদের উপরে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সাতক্ষীরা বিজিবি-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশরাফুল হক বলেন, সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কাঁচা চামড়া পাচার ও ভারতের পুশইনের যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। অধিনায়ক আরও বলেন, ঈদ মৌসুম জুড়েই তারা সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকবে বলে জানানো হয়। সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. বিষ্ণপদ বিশ্বাস বলেন, ১২ হাজার ৮৯৪টির মতো ছোট-বড় খামার রয়েছে। চলতি বছর কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ৮৫ হাজার ৩১৮টি। সেখানে গরু-ছাগলসহ কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয় প্রায় ১ লাখ ৬০৬টি পশু।