আগাম বন্যার পানিতে সিরাজগঞ্জের শয্যভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে চলনবিল এলাকার দুই শতাধিক বিঘা জমির কাঁচা ও পাকা ধান ডুবে গেছে। কৃষকেরা নৌকা, কলার ভেলায় ধান কেটে তুলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে চলনবিলে পানি বাড়ছে। এ পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চলনবিল এলাকার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকের কাঁচা পাকা ধান তলিয়ে যায়। কৃষকেরা বলছেন, এবার চলনবিল এলাকার অনেক স্থানে ইরি বোরো ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। এরইমধ্যে সিংহভাগ ধান কেটে ও মাড়াই করে ঘরে তোলা হয়েছে। কিন্তু বিল অঞ্চলের অনেক স্থানে জমিতে নামি ইরি বোরো কাঁচা পাকা ধান রয়েছে। এ ধান কৃষকেরা কাটতেও শুরু করেছে। কয়েক দিন ধরে ওই বিলে পানির প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ আগাম বন্যায় বিস্তৃর্ণ এলাকার ২ শতাধিক বিঘা জমির কাঁচাপাকা ধান ডুবে যায় এবং বিল এলাকার নিমাইপাড়া বিল ও হুরাসাগরে পানি বৃদ্ধিতে ফসলের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অবশ্য কৃষকেরা ঈদের পরদিন থেকে এ নামি ধান কাটতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে একজন কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন, আগাম বন্যার কারণে চলনবিল এলাকার নিমাইপাড়া বিলের ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরইমধ্যে কৃষকেরা তলিয়ে যাওয়া ধান কেটে তুলছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, অসময়ে চলনবিলে পানি প্রবেশ রোধে বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তাড়াশ উপজেলা নির্বার্হী অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, চলনবিল এলাকা পরিদর্শন করেছি। ওই বিলের কিছু অঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় অনেক কৃষকের ধান ডুবে গেছে। তবে এরইমধ্যে কৃষকেরা ধান কেটেছে। এতে কৃষকের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
