থাইল্যান্ডে উচ্চতর প্রশিক্ষণের মাঝেই মালয়েশিয়া ওপেন আন্তর্জাতিক সাঁতারে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশের সামিউল ইসলাম। থাই ওপেনেও একটি করে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ জিতেছেন তিনি। তাকে নিয়ে এসএ গেমসে স্বর্ণ পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। তবে সামিউলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চান না সাঁতার কর্তারা। ২০১৬ সালে সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ নামে দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ করেছিল সাঁতার ফেডারেশন। যার সার্থকতা সামিউল। এবার আরও সামিউল খুঁজে বের করতেই ফের দেশব্যাপী সেরা সাঁতারুর খোঁজে নামছে ফেডারেশন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মেধাবী সম্ভাবনাময় ও সুবিধাবঞ্চিত সাঁতারুদের খুঁজে বের করে তাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়ায় ফেডারেশনের উদ্দেশ্য। মূলত দেশের আট বিভাগের ৬৪টি জেলা থেকে আসা সাঁতারুদের নিয়ে ১৫টি ভেন্যুতে চলবে এই বাছাই কার্যক্রম।
১০ মে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্স থেকে শুরুর হবে এই কর্মসূচি। এ দিন বাছাই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বাছাই প্রক্রিয়া চলবে তিন ধাপে। যেখানে সারা দেশ থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হবে ৬০০ সাঁতারু। এরপর ঢাকায় হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের বাছাই। সেখানে ৬০০ থেকে সাঁতারু কমিয়ে আনা হবে ১০০ জনে। সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে চূড়ান্ত বাছাই করা হবে ৫০ জন সাঁতারুকে। চূড়ান্ত পর্যায়ের এই বাছাইকৃত সাঁতারুদের দুই বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এসএ গেমসে সোনাজয়ী সাঁতারু শাহজাহান আলী রনি, মাহফুজা খাতুন শিলা, জুয়েল আহমেদসহ ফেডারেশনের কোচেরা এই বাছাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। এই কর্মসূচি নিয়ে দারুণ আশাবাদী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান শাহীন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসেসিয়েশনে (বিওএ) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি দেশবাসীকে অনুরোধ করব আপনাদের সন্তানকে ঘরে বসিয়ে না রেখে এবং মাদকের যে ভয়াল থাবা থেকে সুরক্ষা দিতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আমি প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের বলব আপনার সন্তানকে সাঁতারে দেন এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলুন।’ সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ কর্মসূচির জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৬ কোটি। এরই মধ্যে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি ৫০ লাখ টাকা দিয়েছে সাঁতার ফেডারেশনকে।