
ছাত্র সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে জমে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। ছাত্র সংগঠনের প্রার্থীরা ভোটার কাছে টানতে ক্যাম্পাস অঙ্গনে চায়ের আড্ডা ও সংস্কৃতিসহ নানা অনুষ্ঠান করছেন। এতে ঢাবিতে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য, বেড়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রির শেষ দিনে ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৫২১টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। গতকাল সোমবার মনোনয়ন ফরম বিতরণের শেষ দিনে ৪৪৯টি ফরম বিক্রি হয়।
গত ২৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলে বলা হয়। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময় ১২ থেকে ১৮ আগস্ট বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছিল। মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৯ আগস্ট বেলা ৩টা এবং যাচাই-বাছাই শেষে ২১ আগস্ট বেলা ১টার সময় চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন পদে সম্ভাব্য প্রার্থী নিয়ে এরই মধ্যে ছাত্রসংগঠনগুলোর ভেতর চলছে জোর আলোচনা।
আগের মতোই সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস), সহ-সাধারণ সম্পাদকের (এজিএস) মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো থাকছে। তবে এবার সংযোজন করা হয়েছে চারটি নতুন পদ গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এ পদগুলো যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ছাত্রদল : ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে ফরম সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান আবিদ এবং কবি জসীম উদদীন হল শাখার আহ্বায়ক শেখ তানভীর বারী হামীম। একাধিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে আবিদুল ইসলাম খান আবিদ সহ-সভাপতি (ভিপি) ও শেখ তানভীর বারী হামীম সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রদলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে পারেন। আবিদুল ইসলাম খান ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আর শেখ তানভীর বারী হামীম উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তবে এ দুজনের মধ্যে আবিদ ভিপি ও হামীম জিএস পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফরম সংগ্রহের পর আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিকভাবে এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানাবেন। এর আগে সবাই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছেন।’
ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা : ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। ২৮টি সদস্যের এই প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচন করবেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম তুলে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন শিবিরের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে প্রার্থী হলেন- সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মহিউদ্দিন খানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ইকবাল হায়দার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক খান জসিম, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম মুয়াজ, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসাইন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতেমা তাসনিম জুমা, কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাব্বির, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে এম এম আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক সাখাওয়াত জাকারিয়া, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক মাজহারুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সদস্য পদে রয়েছেন- সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন, আনাস বিন মনিরকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
শিবিরের প্যানেলে জুলাইয়ে চোখ হারানো জসিম, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রাইসুল : ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলে ব্যতিক্রম হিসেবে জুলাই আন্দোলনে এক চোখ হারানো খান জসিম ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রাইসুল ইসলামকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এক চোখ হারানো খান জসিম আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিজয় একাত্তর হলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রাইসুল ইসলামকে সদস্য পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
ছাত্র অধিকারের প্যানেলে ভিপি বিন ইয়ামিন-জিএস সাবিনা : ডাকসু নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এতে ভিপি প্রার্থী হিসেবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, জিএস হিসেবে সাবিনা ইয়াসমিন মনোনয়ন পেয়েছেন। এজিএস হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে ঢাবি শাখার সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলামের। গতকাল মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্যানেল ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তাদের প্যানেলের নাম ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ এবং স্লোগান ‘ভোট ফর চেঞ্জ’। এছাড়া প্যানেলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. শাকিল খান, সমাজসেবা পদে আরিফুর রহমান মজুমদার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুক্তার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন পদে আশিক হৃদয় আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রাকিব হোসেন গাজী, মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে ইশতিয়াক আহমেদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিয়াম ফেরদৌস ইমন স্থান পেয়েছেন। ঘোষিত প্যানেলে সদস্য হিসেবে আছেন- রাহাত, রেজোয়ান, মো. মুহিউদ্দীন আহমেদ, কৌফিক আবির, আব্দুল্লাহ আল নোমান, রাকিবুল আলম রুদ্র, মোফাচ্ছেল হক, মাহতাপ ইসলাম।
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ডাকসু মনোনীত পাঁচ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হন। শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছে ৩৭ বার। এর মধ্যে ২৯ বার হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ৫০ বছরে। স্বাধীন দেশে ৫৩ বছরে মাত্র ৮ বার ভোট দেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তাসনিম আফরোজকে ভিপি ও মেঘমল্লারকে জিএস প্রার্থী করে বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের প্যানেল : শেখ তাসনিম আফরোজকে (ইমি) সহসভাপতি (ভিপি) ও মেঘমল্লার বসুকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
তাসনিম আফরোজ সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে শামসুন্নাহার হল সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর মেঘমল্লার বসু ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে সম্মুখভাগে থেকে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন মেঘমল্লার বসু।
এই প্যানেল থেকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, আর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক।
গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্যানেল ঘোষণা করেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল।
জাবির আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র মঞ্চ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের প্যানেল করা হয়েছে। প্যানেলের পূর্ণাঙ্গ তালিকা আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। তাদের প্যানেলে ১১ জন নারী, ২ জন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী থাকবেন।
এ সময় মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরে কোনো পদের লোভে বিকিয়ে যায়নি, অন্তর্বর্তী সরকারের অনাচারের বিরুদ্ধেও যারা কণ্ঠস্বর জারি রেখেছে, আমাদের সাংগঠনিক কাঠামোর অংশ নয় এমন মানুষকে সমন্বিত করে আমরা একটি প্যানেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। এটি শুধুই গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট বা বামপন্থীদের প্যানেল নয়, একাত্তর ও চব্বিশের গণহত্যাকারীদের ঘৃণা করে যারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের লড়াইয়ে অংশীজন হতে চাই, তাদের নিয়ে আমরা প্যানেল করছি।’
ডাকসুর ২৮টি পদে মনোনয়ন ফরম নিলেন ৫৬৫ জন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মোট ৫৬৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে শেষ দিন আজ সোমবার মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ৪৪২ জন।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ১২ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত গত এক সপ্তাহে ডাকসুর বিভিন্ন পদে মোট ৫৬৫ জন শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। শেষ দিনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বাড়তি চাপ ছিল। শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মনোনয়ন নিয়েছেন।
সর্বশেষ নির্বাচনে ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি, জিএসসহ পদ ছিল ২৫টি। এবার নতুন তিনটি পদ যুক্ত করায় মোট পদ হয়েছে ২৮টি। তবে হল সংসদে পদসংখ্যা আগের মতো ১৩টি করেই থাকছে।
হল সংসদের মনোনয়নের বিষয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ১৮টি হলে বিভিন্ন পদে মোট ১ হাজার ২২৬ জন শিক্ষার্থী মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এর মধ্যে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৭১ জন, শহীদুল্লাহ হলে ৯৭ জন, জগন্নাথ হলে ৬৬ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৭৮ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৯৩ জন, বেগম রোকেয়া হলে ৪৬ জন, সূর্যসেন হলে ৯০ জন, মুহসীন হলে ৭৪ জন, শামসুন্নাহার হলে ৩৭ জন, জসীমউদ্?দীন হলে ৭৪ জন, জিয়াউর রহমান হলে ৮৭ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৬৯ জন, কুয়েত মৈত্রী হলে ২৯ জন, ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৩০ জন, অমর একুশে হলে ৮৪ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪০ জন, বিজয় একাত্তর হলে ৮৮ জন, স্যার এ এফ রহমান হলে ৭৩ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আজকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো তথ্য আমরা পাইনি। প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে একসঙ্গে পাঁচজন করে এসে মনোনয়নপত্র নিয়েছে। কেউ কেউ একা এসে নিয়েছে। লবিতে হয়তো হঠাৎ করে কেউ মিছিল করে থাকতে পারে। তবে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেটা নিষেধ করেছি। সেটি তারা মেনেছে।’
ডাকসুর তফসিল অনুযায়ী, ১২ আগস্ট থেকে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়ে আজ সোমবার শেষ হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে ২১ আগস্ট বেলা একটায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ইতিমধ্যে ডাকসু এবং হল সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭১ জন ও ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।