ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

২০ মামলার আসামি সন্ত্রাসী লুদু গ্রেপ্তার

২০ মামলার আসামি সন্ত্রাসী লুদু গ্রেপ্তার

হত্যাকাণ্ড, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ‘ভাড়ায় খাটা’ আবুল মনছুর লুদু অবশেষে ধরা পড়েছেন। গত বুধবার রাতে শহরের হাশেমিয়া মাদ্রাসা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঠেকাতে অস্ত্র সরবরাহ, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়া ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুর রহমান বলেন, হত্যাসহ তার বিরুদ্ধে ২০টির অধিক মামলা রয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এদিকে দীর্ঘদিন পর তার গ্রেপ্তারের খবরে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। লুদুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভারি অস্ত্র উদ্ধারসহ নানা অপরাধের তথ্য মিলবে বলে মতামত দিয়েছেন অনেকে। পুলিশ জানায়, আবুল মনছুর লুদু আওয়ামী লীগের কক্সবাজারের একজন তালিকাভুক্ত শীর্ষ ক্যাডার। অনেকের কাছে তিনি আওয়ামী লীগের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর খাতায়ও একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী তিনি। বিগত ১৭ বছর ধরে শহরের রুমালিয়ারছড়া ও জেল গেট এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিরোধী মিছিলেও যোগ দেয় আবুল মনছুর লুদু। জানা যায়, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগে নাম লেখান কক্সবাজার উত্তর রুমালিয়ারছড়াস্থ হাশেমিয়া মাদ্রাসা গেট এলাকার আব্দুস ছবুর সওদাগরের ছেলে লুদু। এরপর ইকবাল হোসেন ছোটন, মুবিনুল হক মুবিন, ফারুক, জিয়াবুল ও জসিমসহ প্রায় ১৫-২০ জনের একটি বাহিনী গড়ে তোলেন তারা। এরপর শুরু হয় তাদের ত্রাসের রাজত্ব। পরবর্তীতে ২০০১ সালের মে মাসে সিটি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে কলেজছাত্র আলমগীর ও তার চাচা তৎকালীন বিডিআর সদস্য আমীরুল আলমকে গুলি করে নতুন করে আলোচনায় আসেন ছাত্রলীগ নেতা লুদু। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমীরুল আলম। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সেসময় কক্সবাজারে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। এরপর ২০০১ সালের মার্চ মাসে চাঁদা দাবি ও লুটপাটের ঘটনায় লুদু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন উত্তর রুমালিয়ারছড়া এলাকার বোরহান উদ্দিন আহমেদ। এরপর ২০০২ সালে পাবলিক হল ময়দানে এক অনুষ্ঠানরত জনসভায় প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে জনসভা প- করেন তিনি। তখনও এক মহিলাকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনারও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন ছাত্রলীগের এই ক্যাডার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত