কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া বালুঘাটে এবার হামলা চালিয়েছে চরমপন্থীরা। এ সময় প্রায় ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে চরমপন্থি বাহিনী। এঘটনায় বালু ঘাটের ম্যানেজার সবুজ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় চরমপন্থিরা বালু ঘাটের ক্যাশ কাউন্টার থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে জানান বালু ঘাট কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ জানান, বালু ঘাটের দখল নিয়ে একটি পক্ষ এই হামলা করেছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি একই ভাবে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত ১১টার দিকে একটি চরমপন্থি বাহিনী দুইভাগে বিভক্ত হয়ে উপজেলার কয়া-রায়ডাঙ্গা বালু ঘাটে সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায়। চরমপন্থি ওই গ্রুপটি মোটরসাইকেল যোগে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি সড়ক হয়ে মাসউদ রুমী সেতুর নিচে আশ্রয়ন প্রকল্পের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা আশ্রয়ন প্রকল্পের সামনে মোটর সাইকেল রেখে ২০ থেকে ২৫ জন অস্ত্রধারী ক্যাডার দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে আধা কিলোমিটার পয়ে হেটে বালু ঘাটে হামলা চালায়। একটি গ্রুপ ক্যাশ কাউন্টার রুমে হামলা করে। অন্য গ্রুপটি বালুর লোড পয়েন্টে হামলা চালায়। এ সময় লোড পয়েন্টে ট্রাকের ও শ্রমিকদের লক্ষ্য করে চরমপন্থিরা ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। অন্য গ্রুপটি ক্যাশ কাউন্ডার রুমে অবস্থান করা চারজনকে জিম্মি করে ফেলে। সেখানে থেকে একজন কৌশলে পালিয়ে যায়। অন্য তিনজনকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে বেধড়ক মারপিট করে চরমপন্থিরা। এ সময় ম্যানেজার সবুজের পায়ে গুলি করে চরমপন্থিরা। এতে তার ডান পায়ে গুলি লাগে। এ সময় চরমপন্থিরা দুইজনকে তুলে নিয়ে যায়। তারা হলেন হেলাল উদ্দিন ও স্বপন। স্বপন জানায়, দশজনের একটি বাহিনী তাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসিরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে চরমপন্থিরা তাদের ফেলে মোটরসাইকেলযোগে দ্রুত চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মারপিট করে চরমপন্থিরা ক্যাশ কাউন্টার প্রায় দুই লাখ টাকা নিয়ে গেছে। কুমারখালী থানার ওসি সোলাইমান শেখ জানান, বালু ঘাটের দখলকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। একটি পক্ষ বালু ঘাট থেকে বালু উত্তোলন করছে। অন্য একটি পক্ষ ওই বালু ঘাটটি দখল নিতে হামলা চালিয়েছে। এ সময় একজন আহত হয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। সম্প্রতি একটি সরকারি দপ্তরে গুলিবর্ষণ ও প্রকল্পের সাইটে বোমা হামলা চালায় চরমপন্থিরা। ঠিকাদারি কাজের নিয়ন্ত্রণ, কমিশন ও চাঁদা আদায় করতেই এ সব হামলার ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।