নাটোরের লালপুরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের সারগুদামে বস্তা ছিদ্র করে প্রতি বস্তা থেকে সার চুরি করছে শ্রমিকরা। ৪২ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে উপজেলাজুড়ে কৃষকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল সূত্রে জানাযায়, প্রতিবছর কৃষি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপিও সার এই চিনিকল জোনে আখ উৎপাদনের জ্বন্য আখচাষিদের মাঝে ঋণে বিতারণ করা হয়। এ বছরও মিল জোন এলাকায় ৫ হাজার ৭০০ আখচাষিদের জ্বন্য ৫ হাজার ৩০০ টন সার বরাদ্দ হয়। সম্প্রতি ঈশ্বরদী সার গুদাম থেকে ট্রলিতে করে এমওপি সার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের গুদামে আনা হয়। তবে সেই সার আনলোড করার সময় হুক দিয়ে বস্তা ছিদ্র করে প্রতি বস্তায় ৩/৪ কেজি সার চুরি করে নেয় কর্মরত শ্রমিকরা। ওজ্বনে কম থাকা সেই বস্তার সার মিলের ২২টি কেন্দ্রে আখচাষিদের ঋণে বিতরণ করা হচ্ছে। আখচাষিদের অভিযোগ, তারা সুগার মিল থেকে ঋণের মাধ্যমে সার ক্রয় করেন। ফলে আখ উৎপাদন করে মিলে আখ সরবরাহ করে সেই ঋণের সারের টাকা পরিশোধ করতে হয়। প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় ৪/৫ কেজি করে সার কম থাকে। ঋণের মাধ্যমে সার নেয়ায় বস্তায় সার কম থাকলেও কিছু বলার থাকে না। আর এমন ঘটনা প্রতি বছরই হয়ে থাকে। সিরাজীপুর গ্রামের আখচাষি আব্দুস সালাম ও রহিমপুর গ্রামের আলাউদ্দিন জানান, শুধু এবছর নয় প্রতিবছরই বস্তায় সার কম থাকে। বিষয়টি তাদের জানালে তারা জানান হুক লেগে সার পরে যাওয়ার কারণে ওজ্বনে কিছুটা কম হয়। সার বিতরণের সময় সঠিক ওজ্বন দিয়ে সার দেয়ার দাবি জানান আখ চাষিরা। এ বিষয়ে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরিদ হোসেন ভূইয়া বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজ্বনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
