চৌদ্দগ্রামে একই স্থানে দুই প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফালগুনকরা এলাকায় প্রবাসীর গাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এসময় ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রের মুখে নগদ অর্থসহ যাবতীয় মালামাল লুটে নেয়। গতকাল শনিবার ভোর ৬টায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে, বৃহস্পতিবার ভোরে একই কায়দায় একই জায়গায় চট্টগ্রামের এক প্রবাসীর সর্বস্ব লুটে নেয় ডাকাতরা। জানা যায়, ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া উপজেলার সিদ্ধিরপুর ইউনিয়নের শরিফপুর গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে বেলাল হোসেন ২০০৭ সাল থেকে মালয়েশিয়া প্রবাসী। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার সুবাদে সেখানে ব্যবসাবাণিজ্য ভালোই চলছিল। পরিবারের সবার মুখে হাসি ফোটাতে গত পনেরো দিন মালয়েশিয়ার বিভিন্ন মার্কেট থেকে করেছিলেন কেনাকাটা। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। ফুফাতো ভাই ইসমাইল তাকে বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে সেখান থেকে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে রওনা দেন। যাত্রাপথে মেঘনা এলাকায় একটি হোটেলে রাতের খাবার খেয়ে আবার যাত্রা শুরু করেন। পথিমধ্যে একটি পিকআপ প্রবাসীর ভাড়াকৃত প্রাইভেট কারটি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফালগুনকরা এলাকায় আনুমানিক ভোর ৬টায় প্রাইভেট কারটিকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার বাইরে ফেলে দেয়। তারপর সংঘবদ্ধ ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রবাসীর সর্বস্ব লুটে নেয়। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার সিনিয়র পুলিশ সুপার ও অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়েদের প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী বেলাল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করছি। আসন্ন রমজানে পরিবারের লোকজনের সাথে সময় কাটাতে দেশে আসছিলাম। পথিমধ্যে ডাকাতদল মালয়েশিয়ান ৩ হাজার রিংগিত ও ছয় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
ঘটনার বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ হিলাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার সংবাদ শোনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
