গাইবান্ধায় ৫২টি অবৈধ ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে বিএসটিআই মামলা করেছে। বিএসটিআইয়ের রংপুর বিভাগীয় অফিস প্রধান ও উপ-পরিচালক (পদার্থ) মুবিন-উল-ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গাইবান্ধায় বিএসটিআই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) এর নীতিমালা অনুযায়ী ইটের গুণগত মান রক্ষা না করে অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করার অপরাধে ৫২টি ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএসটিআই রংপুর অফিস। ৫২টি ইটভাটার মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ১৭টি, পলাশবাড়ী উপজেলায় ১৭টি, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ৯টি, গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৪টি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৪টি এবং সাঘাটা উপজেলায় ১টি ইটভাটা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়। গতকাল বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএসটিআইয়ের রংপুর বিভাগীয় অফিস প্রধান ও উপ-পরিচালক (পদার্থ) মুবিন-উল-ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে বিএসটিআইয়ের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গুণগত মান পরীক্ষণ সাপেক্ষে বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স গ্রহণ বা নবায়ন সাপেক্ষে ইট উৎপাদনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এরপরও যেসব ইটভাটা লাইসেন্স গ্রহণ বা নবায়ন প্রক্রিয়া না করেই উৎপাদন চালু রেখেছিল, তাদের বিরুদ্ধে বিএসটিআই আইন ২০১৮-এর ২১ ধারা মোতাবেক গাইবান্ধা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবর নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি আরো বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় এবং মামলা দেয়ার আগের দিনও এই সব ইটভাটা মালিককে বারবার সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা আমাদের সতর্কবার্তায় কর্ণপাত করেননি। ইটের গুণগত মান রক্ষায় বিএসটিআইয়ের এ ধরনের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। প্রতি তিন বছর পর পর এই লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। সদর উপজেলা ইটভাটা মালিক সভাপতি আয়ান উদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। আগামী ১১ মার্চ জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গাইবান্ধা জেলায় ১২৬টি ইটভাটার মধ্যে বৈধ ইটভাটার সংখ্যা মাত্র ১৬টি ১১০টি ইট ভাটাই অবৈধ।