হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়নে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রংপুর বিভাগের মহাসড়কের নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল মঙ্গলবার হাইওয়ে পুলিশ ডিআইজি (অপারেশনস-পশ্চিম) আবুল কালাম আজাদ প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতিত ছিলেন।
পুলিশ রংপুর রিজিয়ন এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায়, রংপুর বিভাগের আটটি জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এবং হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়ন এর পুলিশ সুপারসহ সব অফিসার ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতেই পুলিশ সুপার রংপুর রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ গোবিন্দগঞ্জ-রংপুর-সৈয়দপুর-নীলফামারী-বাংলাবান্দা মহাসড়কে যানজট প্রবণ স্পট নির্ধারণ, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহাসড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ সংক্রান্ত আলোচনা, সড়ক দুর্ঘটনারোধ/হ্রাসকল্পে করণীয় সংক্রান্ত বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
সভায় বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর গন এবং রংপুর রিজিয়নের অফিসার ইনচার্জরা তাদের এলাকার যানজট, কোরবানির পশু পরিবহন, জেলার পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশের সমন্বয় এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। সভায় ডিআইজি অপারেশন পশ্চিম আবুল কালাম আজাদ আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুবাহী যানবাহন যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে নিরাপত্তামূলক জোরদার করা হবে বলে ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এবারের ঈদ যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক। মহাসড়ক নিরাপদ ও যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। এরইমধ্যে বগুড়া রংপুর হয়ে বাংলাবান্ধা মহাসড়কে পশু পরিবহন এবং যাত্রী পরিবহন নির্বিঘ্ন করতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারের জন্য তিনি পুলিশ সুপারসহ সব অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সভায় ডিআইজি বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের সমন্বয়পূর্বক কাজ করে সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশের এবং জনগণের সচেতনতাই মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারে বলে তিনি মনে করেন। এছাড়াও মহাসড়কে সব প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন।
