ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ে স্ট্রিটলাইট অকেজো

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ে স্ট্রিটলাইট অকেজো

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই অংশের স্ট্রিটলাইট বাতিগুলো দেখভালের অভাবে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না। বাতিগুলো পড়ে রয়েছে অকেজো হয়ে। কোটি টাকার স্ট্রিট লাইট পড়ে আছে খাম্বায়। কিন্তু আলো নেই। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বেড়েছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম। সরেজমিনে দেখা গেছে, ধামরাইয়ের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই থানা রোড থেকে ঢুলিভিটার স্ট্রিট লাইট স্থাপনের কয়েক মাসের মধ্যে তা দেখতে অনেকটাই খেলনা লাইটের মত হয়ে গেছে। মহাসড়কে স্ট্রিট লাইটে বাতি থাকলেও আলো জ্বলে না কোন জায়গায়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার বা দেখভালের কথা থাকলেও ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছে না সড়ক ও জনপথের লোকজন। ফলে দেখভালের অভাবে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছে না সাধারণ জনগণ। এতে মহাসড়কে প্রতি নিয়ত বেড়েই চলেছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ। অন্যদিকে মহাসড়কে বাতিগুলো না জ্বলায় চলাচলের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন পথচারী জনগণ। সরেজমিনে দেখা যায়, ধামরাই ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের অধিকাংশ স্ট্রিটলাইটগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তবে স্ট্রিটলাইটের খুঁটিগুলো ঠিক দাঁড়িয়ে আছে জায়গায়। অনেক স্থানে দেখা যায় লাইটগুলো হারিয়ে গেছে। এছাড়া মহাসড়কের পাশে অনেক যাত্রীছাউনীর ল্যাম্পপোস্টের লাইটগুলোরও অধিকাংশ এক একটি খেলনার মত দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেগুলোও এখন অকেজো ও দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। ধামরাই ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত অনুমানিক প্রায় ৫ শতাধিক স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পথচারীদের সুবিধার্থে স্ট্রিটসোলার লাইট গুলোও বসানো হয়েছে। এই মহাসড়কে এসব লাইটগুলো দেখভাল করার দায়িত্ব কার এমন প্রশ্ন সাধারণ জনগণের। নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্ট্রিটলাইটগুলো দেখার দায়িত্ব হচ্ছে সড়ক ও জনপথের লোকজনের। কিন্তু তারা লাইটগুলো লাগিয়ে যাওয়ার পর আর সেগুলো কোন খবর বা সংস্কার করে না। ফলে দিনের পর দিন পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে যায়।

এই বিষয়ে রানা নামের এক পথচারী জানায়, নিন্মমানের যন্ত্রাংশ বা উপকরণ দেওয়ায় সড়কের বাতিগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। রাত হলেই রাস্তার দুই পাশ দিয়ে নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার। যার ফলে মহাসড়কে দিন দিন বেড়ে চলেছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ। স্থানীয় কতৃপক্ষকে বারবার বলার পরও বাতিগুলো ঠিক করছে না। সুরুজ নামে এক গাড়ির চালক বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। যেখানে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা গাড়ি চলাচল করে। বিশেষ করে রাতের বেলায় লাইটগুলো চালু থাকলে আমাদের গাড়ি চালাতে সুবিধা হয়। এছাড়া রাতে রাস্তার পাশে অপরাধও কম হয়। নিরাপদ সড়ক চাই ধামরাই উপজেলার শাখার সভাপতি এম নাহিদ মিয়া জানান, সড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে সড়কের ক্রটি ও অব্যবস্থাপনা। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কাজের ধীরগতি। এছাড়া ধামরাই ইসলামপুর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত মহাসড়কে স্ট্রিটলাইট গুলো দীর্ঘদিন নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এতে যানবাহনে চলাচলের ক্ষেত্রে বিরম্বনার স্বীকার হচ্ছে, ফলে সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। রাস্তায় বাতিগুলো না থাকায় পথচারীরা অন্ধকারে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছে। এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথের উপ সহকারী-প্রকৌশলী ওসমান গনি বলেন, ধামরাই থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত স্ট্রিটলাইটের তার ও যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাওয়ার কারণে লাইট গুলো বন্ধ আছে। এর আগে চুর ধরে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে কয়েকবার। স্ট্রিটলাইট বন্ধের বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, অতি দ্রুত লাইটগুলো মেরামত করে চালু করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত