চাঁদপুরে কোরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত করতে গিয়ে তিন শতাধিক ব্যক্তি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শুধু দেড় শতাধিক চাঁদপুর শহরেই আহত হয়েছেন। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত করতে গিয়ে কারো কারো আঙুলও কাটা পড়েছে। অনেকে গরুর লাথি-গুঁতা খেয়ে হাত-পায়ের হাড় ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি।
চাঁদপুরে কোরবানির পশু জবাই করতে গিয়ে আহত তিন শতাধিক হওয়া মধ্যে চাঁদপুর শহরের শিমুল হাসান, আমিন, সাদেক ও জসিম মেহেদীসহ বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তি জানান, কোরবানি ঈদে সবাই একদিনের জন্য কসাই হিসেবে কাজ করেন। এখানে সবাই অপেশাদার। বিশেষ করে ছোট ছুরি দিয়ে গরুর মাংস কাটতে গিয়ে হাতে ছুরি লেগে কেটে যায়। পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান নোমান মিয়া জানান, শুধু ঈদের দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী ও গত রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসেছেন প্রায় ৪০ জন। এদের মধ্যে হাতে আঘাত প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। তবে বিকাল থেকে রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে মারাম করে যদিও গত রোববার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আহত রোগী আসতে শুরু করেছেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধশত রোগী হাসপাতালে এসেছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সমিষ্টা দে জানান, ঈদের দিন ও পরের দিন সকাল থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে কেউ গরুর গুঁতা, আবার কেউ ছুরি চালাতে গিয়ে আঙুল কেটে ফেলেছেন। সব মিলিয়ে দেড় শতাধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদের মধ্যে ৫-৭ জনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। এছাড়া ১০-১২ জন চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছেন। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার সংখ্যাই বেশি।