গত মঙ্গলবার, রাত ১২টা। অস্ত্রধারী ৯ জন আনসার সদস্য নিয়ে টি-শার্ট পরে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম। এসময় ড্রাইভার, আনসার সদস্য কাউকেই বলেননি তিনি কোথায় যাচ্ছেন। এদিকে রাতের সঙ্গে দাপট বাড়ছিল রামুর মাটিখেকোদের। হঠাৎ সাহস করে ৯ আনসার সদস্যকে নিয়ে অভিযানে ইউএনও। একপর্যায়ে রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত একে একে জব্দ করেন মাটিবোঝাই ৯টি ডাম্পার। ভোরের আলো ফুটলে অভিযানের বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে রাতের আঁধারে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ, চাকমারকুল, রাজারকুল, রশিদনগর এলাকায় ব্যাপকহারে টপসয়েল কাটার মহোৎসব চলে আসছিল। উপজেলা প্রশাসন নানা কৌশলে অভিযান চালিয়েও এসব কর্মকাণ্ড থামাতে পারছিল না। এদিকে গত মঙ্গলবার রাতে ছদ্মবেশে অভিযানে নামেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম। শ্বাসরুদ্ধকর পাঁচ ঘণ্টার অভিযানে আসে ব্যাপক সফলতা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার অনেক স্থানে নতুন করে মাটি, বালু লুটে যুক্ত হয়েছে বিএনপি ঘরানার লোকজন। আবার অনেক স্থানে আ.লীগ-বিএনপি মিলেমিশে পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চালানোর তথ্য মিলেছে। এ বিষয়ে রামুর ইউএনও মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণত মাটিখেকোরা আতঙ্কে থাকেন এসিল্যান্ডের অভিযান নিয়ে। তাই এসিল্যান্ড কোথায় যাচ্ছেন, বেশিরভাগ সময় গতিবিধি লক্ষ্য রাখেন।
ইউএনও রাশেদুল ইসলাম বলেন, এই কৃতিত্ব শুধু আমার নয়, অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়েছে আনসার সদস্যরাও। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন- দশের সম্পদ, মা ও মাটি রক্ষায় এ নির্ঘুম রাতের তৃপ্তি অন্যরকম।
