অবৈধ অটোরিকশা আর সিএনজি দখলে ভালুকা মহাসড়ক। এ কারণেই শহরজুড়ে যানজট দিনের পর দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। অবৈধ অটোবাইক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ঠুনকো অভিযোগ বেকারত্বের দোহাই দিয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগই যেন কাজে আসছে না।আগে দেখা গেছে ঈদ বা কোনো বিশেষ দিনগুলোতে শহরে যানজট তীব্র আকারে ধারণ করতো কিন্তু বর্তমান সময়ে কোনো বিশেষ দিন না থাকলেও প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে।
ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকাসহ কয়েকটি পয়েন্টে জ্যামের তীব্রতা অত্যাধিক। আর ভাঙা সড়কসহ যত্রতত্র দোকানপাট থাকায় স্কুল, কলেজ ও অফিস আদালতগামী মানুষজন পড়ছে চরম বিপাকে। বর্তমান এই যানজটের পরিস্থিতে সচেতন মহল দায়ী করছেন পৌরসভার উপসড়কে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ, অদক্ষ ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ অতিরিক্ত ও নিষিদ্ধ অটোবাইক।
এদিকে শহরে অতিরিক্ত হারে অবৈধ সিএনজি এবং অটোবাইক চলাচল করায় দেখা দিয়েছে যানজট। এছাড়া অদক্ষ চালকরা ট্রাফিক আইন না মেনে যেখানে সেখানেই গাড়ি পার্কিং করা, প্রতিযোগিতা দিয়ে ওভারটেকিং গাড়ি চালনোসহ অসাধু কিছু ট্রাফিক পুলিশের টাকার বিনিময়ে লাইসেন্সবিহীন সিএনজি চলাচলের সুযোগ করে দেয়া। ভালুকা পৌর শহরের মেজর ভিটা, হাজির ভিটা, গ্যাস অফিস, মোচারভিটাসহ আরো বিভিন্ন এলাকায় অটো রিকশার গ্যারেজ করে চার্জ ব্যবসায় একটি অসাধু চক্র রয়েছে। তারা বিদ্যুতের মিটারের মাধ্যমে অবৈধ লাইন বসিয়ে এ সব কর্মকাণ্ড করছে। বর্তমানে অটোরিকশা ও সিএনজির যানজট লেগে ই থাকে শহরের হাসপাতাল সড়ক,পাচঁ রাস্তার মোড়, গফরগাঁও রোড, ভালুকা মধ্যবাজার এলাকার সামনে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অভিযান ও তদারকি না থাকায় যত্রতত্র অবৈধ এসব পরিবহন শহরে জটলা সৃষ্টি করছে। তাদের কাছ থেকে অসাধু ট্রাফিক পুলিশ, দলীয় কতিপয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিরা চাঁদা নিচ্ছে অভিযোগ রয়েছে। অটোরিকশা যাত্রী আবুল কালাম আজাদ জানান, ভালুকা মেজর ভিটা থেকে বাসস্ট্যান্ডে আসতে সময় লাগে মাত্র ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট। কিন্তু এখন ২৫/৩০ মিনিট চলে যায়। এই সড়কটি প্রতিনিয়ত যেভাবে যানজট লেগে থাকে তা বলার মতো না। অন্যদিকে সড়কে যানবাহন বাড়তে থাকায় ট্রাফিক পুলিশ ও হিমশিম খাচ্ছে। তাই বর্তমান সময়ে যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে পরস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করবে বলে মনে করেন শহরবাসী।
হাইওয়ে থানার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিনিয়তই আমরা সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারী অটোরিকশাসহ অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। এছাড়াও অন্যান্য অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে তৎপর আছি।