বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু বলেছেন, জাতিসংঘ যে রিপোর্ট দিয়েছে ১৪ শত জন নিহত হয়েছে যার মধ্যে ১২৮ জন শিশু হত্যা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৬২ জন বিএনপি নেতাকর্মী রয়েছে। সুতরাং জুলাই আন্দোলনের কৃতিত্বের এককভাবে বিএনপিই হকদার। ১৭ বছরে শেখ হাসিনার সরকার আমাদের ২০ হাজার নেতাকর্মীকে খুন, ২ হাজার নেতাকর্মী গুম ১ লাখ ৬৫ হাজার নেতাকর্মীদের নামে মামলা করে গোটা দেশটাকে জেল খানায় পরিণত করেছিল। বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি ভাইয়ের জানাজা পড়তে পারেনি। শেখ হাসিনাকে হাজার বছর জেল ও ৩৬ বার ফাঁসি দিলেও শাস্তি শেষ হবে না। যারা জিয়াউর রহমানের ২৭ মার্চের ঘোষণায় বিশ্বাস করেনা এদেশে তাদের ভোট চাওয়ার কোনো নৈতিক অধিকার নেই ।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দ্রব্য মূল্য ঊর্ধ্বমুখি। বর্তমান প্রশাসনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসররা রয়ে গেছে। ইউপি থেকে সংসদ নির্বাচন করেছে ডিসি, ইউ এনও আর আওয়ামী গুন্ডারা। বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে, দিনের ভোট রাতে হয়েছে। তাই অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের উচিত জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার করা।
প্রশাসনে ভারতীয় দালালে ভরা এই ফ্যাসিস্ট পরিস্কার করতে বিএনপির একার পক্ষে সম্ভব নয় তাই আগামী বিএনপি একক ভাবে ক্ষমতায় গেলেও জাতীয় সরকার গঠন করবে। গতকাল রোববার বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগুম্বজ ইউনিয়ন পরিষদ ও খানজাহান আলী দরগাহ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যেরে মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, বিএনপি নেতা ওহিদুজ্জামান দিপু, মুজিবর রহমান, কামরুল ইসলাম গোরা, ড. ফরিদুল ইসলাম ও কাজী খায়রুজ্জামানসহ নেতারা। সভায় বক্তারা নিত্য প্রয়োাজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথ উত্তরণের জন্য নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান। বাগেরহাট জেলা বিএনপি আয়োজিত এ জনসভার বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশগ্রহণ করেন।
