বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম আকাশ, মেহেদী হাসান ও যুগ্ম সদস্য সচিব শেফাউর রহমান শিপনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী কুটির শিল্প ও পণ্য মেলার শেষদিনে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেলার ভিতরে হঠাৎ করে একদল দুর্বৃত্ত ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করাসহ ধারালো ছোড়া দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনজ্বন আহত হন।
হাসপাতালে আহত মেহেদী হাসান ও শেফাউর রহমান জানান, ছাত্র আন্দোলনের জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান তার পরিবার নিয়ে মেলায় যায়। এ সময় মেলার এক দোকানের কর্মচারী আসাদুজ্জামানকে হেনস্থা করে। বিষয়টি জানতে পেরে তারা কয়েকজ্বন মেলায় যায়। সে সময় দোকান মালিকের সঙ্গে কথা বলে ওই কর্মচারীকে মেলা থেকে বের করে দেয়। পরে মেলা থেকে তারা বের হওয়ার সময় অপরিচিত দুই নারীকে কয়েকজ্বন মিলে স্টিলের চামচ দিয়ে মারধর করতে দেখে। চুরির অভিযোগে তাদের মারধর করতে বাধা দিলে তারা ধারালো অস্ত্র হাতে তাদের ওপর হামলা করে। এতে আকাশ, মেহেদী ও শিপন আহত হয়।
হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলা শাখার সদস্য সচিব বায়োজিদ বোস্তামী জিম বলেন, তাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। প্রথমে ধারালো ছুরি দিয়ে তারা আসাদুজ্জামান ও মেহেদীকে আঘাতের চেষ্টা করে। এ সময় মেহেদীকে বাঁচাতে গেলে আকাশের বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও সুবিধাবাদি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হামলা চালিয়েছে। এদিকে, হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গত সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে জ্বড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সদর থানায় অবস্থান নেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এছাড়া তাৎক্ষণিক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করাসহ দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ আল হাসান ও সেনাবাহীনির সদস্যরা সদর হাসপাতালে যান। এ সময় তারা আহতদের খোঁজ্বখবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ইউএনও মাহমুদ আল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, হামলার ঘটনাটি তদন্তে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কাজ্ব করছে। দ্রুতই জ্বড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহীনুর তালুকদার জানান এ ঘটনায় থানায় ৯ জ্বনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজ্বনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।