কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার কৃষকেরা জমিতে বোরো ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলন বৃদ্ধির জন্য আগাছা অপসারণ, সার বপন ও কীটনাশক ব্যবহার করছেন। তবে কৃষকদের অভিযোগ কৃষি উপসহকারীগণ তাদের জমির কাছে যান না এবং তাদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শও তারা পান না। গতকাল শনিবার সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, গত বছর ভাল চাষ ও ভালো দামও পেয়েছিলেন উপজেলার কৃষকরা। তাদের প্রধান আবাদি ফসল নানা জাতের বোরো ধান চারা কৃষকরা পরিচর্যা করছেন। উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মাঠেই বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। উপজেলার দামিহা ইউনিয়নের হাছলা গ্রামের কৃষক আবদুল কাইয়ূম অভিযোগের সুরে বলেন, আমার পিতৃপুরুষেরা পুরাতন কৃষক। উপজেলার কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা কোনোদিন আমাদের জমিতে আসেননি। তার কাছে কৃষি বিষয়ক কোনো পরামর্শ আজ পর্যন্ত পাই নাই। তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়নের কালনা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান, ফজলুর রহমান, বজলুর রহমান জানান, গত বছর ধানের দাম ভাল থাকায় এ বছরও ভালো দামের আশায় বোরো ধানের চাষ করেছি। এখন ধানের জমিতে খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। একই ইউনিয়নের সহিলাটী গ্রামের কৃষক শাহাব উদ্দীন জানান, এবার দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। এখন আগাছা পরিষ্কার করছি। আশা করি, বোরো ধানের ফলন ভালো হবে। তিনি আরো বলেন, ভালো ফলন পেলে ও ধানের বর্তমান বাজার মূল্য ঠিক থাকলে সব খরচ বাদ দিয়ে পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে পারবো। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১০ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৯৯ হেক্টর জমিতে কিন্তু আবাদ হয়েছে ৫০৫ হেক্টর জমিতে। তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ রায়ের কাছে উপসহকারী কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, অতিদ্রুত কৃষকদের করা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখব।