ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

৩০ হাজার মানুষের পারাপারের ভরসা জরাজীর্ণ কাঠের সেতু

৩০ হাজার মানুষের পারাপারের ভরসা জরাজীর্ণ কাঠের সেতু

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর-দক্ষিণের অঞ্চলের মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে চাড়ালকাটা নদী।

এতে কোনো ব্রিজ না থাকায় ওই ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা জরাজীর্ণ কাঠের ব্রিজ। একটি ব্রিজের অভাবে নদী পারাপারে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে স্থানটিতে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানালেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

জানা যায়, উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের শামসুল চেয়ারম্যানের ঘাটে প্রতি বছর বর্ষাকালে নিজেদের অর্থায়নে কাঠের ব্রিজ তৈরি করলেও যাতায়াতের ক্ষেত্রে অধিক চাপের কারণে ব্রিজটি তিন থেকে চার মাসের বেশি স্থায়ী হয় না। ফলে বছরজুড়ে থাকে এ জনদুর্ভোগ।

বর্তমানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন বয়সের শত শত মানুষকে পারাপার হতে হয়।

এতে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ জাতীয় নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে ভোট নিয়ে যায়, কিন্তু ভোটের পরে আর তাদের দেখা পাওয়া যায় না। ব্রিজ না থাকার কারণে ত্রাণের চাল, জন্ম নিবন্ধনসহ পরিষদের বিভিন্ন কাজে ওই ইউনিয়নের ৪ থেকে ৯নং ওয়ার্ডের জনগণকে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে পরিষদে আসতে হয়। উত্তর দুরাকুটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম দেলোয়ার হোসেন দুলাল বলেন, ব্রিজের কারণে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অনেক কষ্ট হয়, বিশেষ করে বর্ষাকালে। ব্রিজটি নির্মাণ হলে নদীর দুই পারের মানুষের জীবন-মানের উন্নয়নসহ আর্থিক বিল্পব ঘটবে। অটোভ্যান চালক ফরিদুল জানান, ব্রিজ না থাকার কারণে আমাকে নিজ উপজেলা ছেড়ে অন্য উপজেলায় গিয়ে ভ্যান চালাতে হয়। আমার বাড়ি থেকে উপজেলা ৪ কিলোমিটার কিন্তু ব্রিজ না থাকার কারণে আমাকে ৯ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলায় যেতে হয়। উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, ব্রিজটি প্রস্তাবিত আছে, এরইমধ্যে সয়েল টেস্টসহ বেশ কয়েকটি টেস্ট হয়েছে। আশা করি এ বছরেই ব্রিজের নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত