‘জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রমে বিন্দু পরিমাণ গাফেলতি দেখলে আবারও আবু সাঈদের মতো বুক চিতিয়ে, মীর মুগ্ধের মতো পানি নিয়ে ছাত্র-জনতা মাঠে নামবে বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
গতকাল বৃহস্পতিবার জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আয়োজিত ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে হতাহতদের’ আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পূর্ব গজালিয়া এলাকার শহিদ ছাত্রদল নেতা নুরুল আমিনের পরিবার ৫ লাখ টাকা এবং জেলার আহত ৪৭ যোদ্ধাকে এক লাখ টাকা করে চেক হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত ও শহিদদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, আন্দোলনে শহিদদের ও আহতদের এই ত্যাগ কোনোভাবে পূরণ করা সম্ভব নয়।
দেশের জন্য ত্যাগের সাহস সবার থাকে না। জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সবসময় তাদের পাশে থাকবে। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, ‘কক্সবাজারে আহত ও শহিদ পরিবারগুলো বর্তমানে অত্যন্ত কষ্টে দিনযাপন করছে। প্রশাসন সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
রমজানের শুভেচ্ছা উপহার প্রদানসহ ইতিপূর্বেও এ সব সাহসী যোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান করেছিল। অনুষ্ঠানের শুরুতে আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আন্দোলনে কক্সবাজার জেলায় ৪ জন শহিদ এবং ৮২ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৬২ জনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে একজন শহিদসহ আহত ৪৮ জনকে সহায়তা দেয়া হলো আজ। এর আগে জেলার আরও ৩ শহিদ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল।