কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বিটেশ্বর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশি বৈঠক শেষে শাকিল হোসেন (২৮) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত শাকিল হোসেন বিটেশ্বর গ্রামের আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিটেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ১৩ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বরকোটা এলাকার জাকির মোল্লার দুই ছেলে মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ সাদ্দাম মিয়া এবং নেকবর আলীর ছেলে জাকির মিয়া। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালকের মধ্যে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার বিকালে উভয় পক্ষ নিয়ে সালিশ বৈঠক বসে বিটেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে। ওই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সালিশ বৈঠকের শুরু থেকেই আমি উপস্থিত ছিলাম। বরকোটা এলাকার মোটরসাইকেল চালক এবং বিটেশ্বর এলাকার সিএনজি চালকের মধ্যে গত বুধবার একটি ঝগড়া হয়। ঝগড়ার বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে আমরা সালিশ করি। সালিশে উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে সিএনজি চালকের চিকিৎসা বাবদ মোটরসাইকেল চালককে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মোটরসাইকেলের চালক সালিশিদের রায় মেনে নিয়ে ১ হাজার টাকা জমা দেয়। দুই দিন পর বাকি টাকা পরিশোধ করবে বলে সালিশি দরবার সমাপ্ত করে সন্ধ্যায় আমরা চলে যাই। কিছুক্ষণ পর শুনি উভয় পক্ষে বাকবিতণ্ডায় মারামারি হয়েছে। শাকিল নামে একজনকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (গৌরীপুর) হাসপাতালে নিয়ে গেছে। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে শাকিল মারা গেছে। দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েত চৌধুরী বলেন, বিটেশ্বর এলাকায় সালিশি বৈঠক শেষে মারামারির ঘটনায় শাকিল নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
