টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই অঞ্চলের সবকয়টি ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। এতে করে প্রতিবারের মতো এ বর্ষা মৌসুমেও সরাসরি সড়কপথে জেলা শহরের সঙ্গে জেলার শতভাগ হাওর অধ্যুষিত উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে যাতায়াত বন্ধ হলো। ফেরি বন্ধ হওয়ায় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে পুরো বর্ষাকাল জেলা শহরে যাতায়াত করবেন এ অঞ্চলের মানুষজন। গতকাল কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল ফেরি চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাওরাঞ্চলের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধির কারণে ফেরিঘাটের রাস্তা তলিয়ে গেছে। তাই হাওরের নদীতে ব্যবহৃত ৬টি ফেরিই এ মৌসুমের জন্য স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে প্রশাসনের সব দপ্তর এবং জেলার মিঠামইন উপজেলায় অবস্থিত সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টে খবর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ফেরির পল্টন খুলে নিয়ে আসা হবে। কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, প্রতিদিনই একটু একটু করে হাওরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে মৌসুমি বিপদসীমার ৩৬১ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টির কারণেই মূলতো পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের শতভাগ হাওর অধ্যুশিত উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার সঙ্গে শুকনো মৌসুমে সড়কপথে জেলা শহরের যাতায়াতের জন্য মিঠামইন-করিমগঞ্জ ও ইটনা-করিমগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন নদীতে ৬টি ফেরি চালু করে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। এর মধ্যে মিঠামইন-করিমগঞ্জ সড়কের ঘোড়াউত্রা নদীর মিঠামইন সদরে শান্তিপুর ঘাট ও বাউলাই নদীতে করিমগঞ্জ সুতারপাড়া ইউনিয়নের বালিখলা ঘাটে দুইটি ফেরি। এছাড়াও ইটনা-করিমগঞ্জ সড়কের ধনু নদীতে ইটনা সদর ইউনিয়নের বলদা ঘাট, ধনু নদীর শাখা নদী বড়িবাড়ি ইউনিয়নে বড়িবাড়ি ঘাট ও বাউলাই নদীর করিমগঞ্জের চামড়া বন্দরে তিনটি ফেরি চলাচল করে। আরেকটি ফেরি অষ্টগ্রাম থেকে বাজিতপুরে চলাচল করে।