রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম রবীন্দ্র জন্মোৎসব-১৪৩২ বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন করা হচ্ছে। এ জন্মবার্ষিক উপলক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার সকালে রবির উপাচার্য ভিসির সার্বিক দিকনির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয় এবং ২ দিনব্যাপী এ রবীন্দ্র জন্মোৎসবের উদ্বোধন করেন রবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ।
এক বার্তায় রবির ভিসি বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চোখে বাংলা যেন সৃষ্টির এক অপূর্ব রূপকল্প। তার অমর সৃষ্টিকর্মের উৎস ও প্রেরণাস্থল এই পূর্ববঙ্গ। এদেশের প্রকৃতি, মাটি ও মানুষ তার মননে যে নান্দনিক ভাব ও ভাষাশিল্প সৃষ্টি করেছিল, সেটাই আজ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির গৌরবময় অর্জন। এদেশের নিসর্গে, মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে, সমাজ- রাজনীতি ভাবনায়, মানবতাবোধে, দ্রোহে ও সাহিত্যাদর্শে রবীন্দ্রনাথ মিশে আছেন অকৃত্রিম এক আত্মিক বন্ধনে। বাংলাদেশে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মকে চির অম্লান করে রাখতে রবির প্রতিষ্ঠা। তার দর্শন, চিন্তা ও আদর্শ বাংলাদেশের অধিবাসীদের জাতীয় ঐক্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এরপর যথাক্রমে রবির অ্যাকাডেমিক ভবন-১ ও অ্যাকাডেমিক ভবন ৩-এ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রবীন্দ্রসংগীত ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিষয়ক উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং দুপুরের দিকে রবির অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর চত্বরে তারুণ্য মেলার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন শেষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রবির প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলামের সভাপত্বিতে এ সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, তারুণ্যমেলা উপকমিটির আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান জান্নাতুল মাওয়া মুন, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম। বিকালে ‘রবীন্দ্রনাথের পরিবেশ চিন্তা’ বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। রবির উপ-উপাচার্যের সভাপতিত্বে সেমিনারে এ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রবির বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাবেদ ইকবাল। সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী, রবির শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।