পবিত্র ঈদুল আজহা (কোরবানির) ঈদকে সামনে রেখে ঢাকার ধামরাইয়ে ৫০ হাজার ১৫৯টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় ১৫ হাজার বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে আলোচনায় আসছে ধামরাই সদর ইউনিয়ের ইকুরিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাস ফেরত ইয়াসিন নামে এক খামারির ৩০ মণ ওজনের ষাঁড়। দেখতে কুচকুচে কালো নজরকাড়া এ গরুটির নাম আদর করে খামারি নাম রেখেছেন জিল্লু। ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটির ওজন প্রায় ৩০ মণ দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। বর্তমানে জিল্লু নামে গরুটি দেখতে ভির করছেন স্থানীয়সহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন। ইয়াসিনুর রহমান বলেন, দুই বছর আগে ৮ মাস বয়সী কালো রংয়ের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি বাছুর কিনে এনেছিলাম ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে। তারপর থেকে গরুটিকে লালন-পালন করি এবং শখ করে নাম রাখি জিল্লু। তাকে প্রতিদিন খাদ্য দিতে হয় এ্যাংকর, ভুট্টা, ভুসি, ক্ষুদের ভাত ইত্যাদি।
তিনি আরও বলেন, আমি লোক দেখানো আপেল কমলা, কলা খাওয়াই না। একটি গরুর যা স্বাভাবিক খাবার তাই খাওয়াই। আমরা স্বামী-স্ত্রী ও আমার ভাগ্নে প্রতিদিন গরুটিকে যত্ন-আত্তি করি। এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য তাকে প্রস্তুত করেছি। এর দাম ধরেছি ১৫ লাখ টাকা। আলোচনা সাপেক্ষে এদিক সেদিক হতে পারে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইকুরিয়া গ্রামের দুই বছর ধরে গরুটিকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কালামানিকের ঘরে ফ্যান চলতে দেখা যায়। গোসল করানো হয় দিনে ৩ থেকে ৪ বার। ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, এবারের কোরবানিতে গরুর সংকট নেই। ৫০ হাজার ১৫৯টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ধামরাই উপজেলায় ৩৫ হাজার চাহিদা রয়েছে। এছাড়া উপজেলার গরুর হাটে হাটে পশুস্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। খামারসহ সব গরুর হাটে নিয়মিত তদারকি করছে আমাদের উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। বিশেষ করে সৌদি প্রবাস ফেরত ইয়াসিন নামে এক প্রান্তিক খামারির জিল্লু নামে প্রায় ৩০ মণ ওজনের গরুটি দেখ ভাল করা হচ্ছে।