লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ী ইউনিয়নে উম্মে আয়মান ওরফে এমি (২০) নামে এক কন্যা সন্তানের জননীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা অভিযোগ উঠেছে স্বামী হাফেজ হাসিবুল ইসলামের (২৩) বিরুদ্ধে। ঘটনার পরপরই ঘাতক হাফেজ হাসিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সকালে উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারপাড়া গ্রামে। নিহত উম্মে আয়মান ওরফে এমি উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারপাড়া গ্রামের একরামুল হকের প্রথম কন্যা। ঘাতক হাফেজ হাসিবুল ইসলাম একই গ্রামের বাসিন্দা মোজাফ্ফর হোসেনের দ্বিতীয় ছেলে। তাদের ঘরে এক বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। হাসিবুল ইসলাম পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক।
পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বারপাড়া গ্রামে বাসিন্দা একরামুল হকের মেয়ে উম্মে আয়মান ওরফে এমি একই গ্রামের বাসিন্দা মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে হাফেজ হাসিবুল ইসলামের সঙ্গে দুই বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে এক বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন ধরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য হয়ে আসছে। গত শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহারের নামাজের আগে সকাল পৌনে ৮টায় উম্মে আয়মান এমি তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করেন। ওই বাড়ির একটি ঘরে স্বামী-স্ত্রী কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে হাসিবুল তার স্ত্রীর পেছন দিক দিয়ে ছুড়ি চালিয়ে পালিয়ে যান। পরে উম্মে আয়মান এমি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে পাটগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।