ঢাকার ধামরাইয়ে চিকিৎসক সহ জনবল সংকটে ভুগছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা। অবস্থাসম্পন্নরা ছোটেন প্রাইভেট ক্লিনিকসহ বড় শহরে। তবে, নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ বাধ্য হয়েই ভিড় করেন এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আর রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খায় চিকিৎসকরা। ধামরাই উপজেলায় প্রায় ৭ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য একটি মাত্র ৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন নিয়োগ থাকলেও ১২ জন চিকিৎসক সংযুক্তি রযেছে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল গুলোতে। বর্তমানে ৮ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন এ হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন ১ হাজার থেকে ১২০০ জন এবং জরুরি বিভাগে আসেন ২৫০ থেকে ৩০০ জন রোগী। চিকিৎসাধীন থাকেন ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী।
আর চিকিৎসকসহ কর্মকর্তাদের সযোগিতার জন্য ১১ জন অফিস সহায়ক থাকার কথা থাকলে সেখানে রয়েছে মাত্র এক জন। অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজ সারতেও চিকিৎসকদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। এ বিষয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহমেদুল হক তিতাস জানান, প্রতিদিন হাসপাতালটিতে প্রতি শিফটে একজন ডাক্তারের ১০০ জন রোগী দেখতে হয়। শতভাগ সেবা দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে ডাক্তার সংকটে সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই শতভাগ সেবা নিশ্চিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসক দেওয়ার দাবি জানান। সেই সঙ্গে সাহায্য সহকারী নিয়োগ চেয়ে তিনি আরও বলেন ১০ জনের কাজ একা করতে গিয়ে সকালের নাস্তাও সময় মতো করতে পারে না। সেই সঙ্গে কোনো কারণে অসুস্থ হলেও ছুটি কাটাতে পারেন না। তার কারণ আমাদের সবার সাহায্য সহকারী একজনই।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনজুর আল মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, আটজন চিকিৎসক দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কষ্টকর হয়ে পরছে। ১২ জন চিকিৎসক ফিরিয়ে আনার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ মন্ত্রণালয়ে। সাহায্য সহকারী নিয়োগ দেওয়া হলে স্বাস্থ্যসেবা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।