ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা

গরু পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারিরা

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলাতেও জমে উঠেছে কোরবানির পশুর প্রস্তুতি। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বহু খামার, যেখানে খামারিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশি-বিদেশি নানা জাতের গরু পরিচর্যায়। উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের শিমু ডেইরি খামারের মালিক জিয়াউর রহমান জিবু প্রতিবছরের মতো এবারও তার খামারে ৭টি উন্নত জাতের ষাড় প্রস্তুত করেছেন। ২০১২ সালে শখের বসে শুরু করা খামার এখন রীতিমতো সফল একটি উদ্যোগে পরিণত হয়েছে।

নিজের ব্যবসার পাশাপাশি গরু পালনের এই খাতে তিনি আজ অনেকটাই স্বাবলম্বী। জানা গেছে, জিয়াউর রহমান তার খামারে কয়েকজন কর্মচারী রেখে গরুগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা করাচ্ছেন। এসব গরু মোটা-তাজা করতে কোনো ধরনের কৃত্রিম ওষুধ বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। শুধুমাত্র দেশীয় খাদ্য যেমন নিজস্ব জমির ঘাস, বিচালি, খৈল, ভুসি ও ভুট্টা দিয়ে গরুগুলোর পুষ্টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।

খামার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে আগ্রহী ক্রেতারা আসছেন গরু দেখতে ও কিনতে। বর্তমানে খামারটিতে থাকা গরুগুলোর ওজন ৭০০ কেজি থেকে ১ হাজার কেজি পর্যন্ত।

খামার মালিক জানান, গরুগুলো হালাল উপায়ে লালন-পালন করায় স্থানীয়দের মধ্যে তার খামারের পশুর প্রতি আস্থা ও আগ্রহ অনেক বেশি। খামারি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘অবৈধভাবে ভারত থেকে পশু আমদানি না হলে দেশের খামারিরা লাভবান হবে। আমি আশাবাদী, এবারও ভালো দাম পাবো। তিনি আরও বলেন, আমার খামারে আসা ক্রেতারা গরু দেখে পছন্দ হলে দামদর করে কিনে নিতে পারবেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধান এবং খামারিদের সচেতনতায় নবীনগরের পশু খামারগুলো এখন ঈদ উপলক্ষে সাড়া জাগাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, স্থানীয় পর্যায়ে গড়ে ওঠা এসব খামার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গরু,কুরবানী,ঈদুল আজহা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত