ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নির্দলীয় সরকারের সময় দীর্ঘতম হতে পারে না

বললেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
নির্দলীয় সরকারের সময় দীর্ঘতম হতে পারে না

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যে সরকার প্রতিষ্ঠিত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের প্রতিষ্ঠিত সরকার। এই সরকারকে নিরেপেক্ষ, নির্দলীয় ও সীমাবব্ধ সময়ে নির্বাচন দিতে হবে। নির্দলীয় সরকারের সময় দীর্ঘতম হতে পারে না। তাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে জ্বনগনের অধিকার জ্বনগণকে ফিরেয়ে দেয়া। জ্বনগণের সবচেয়ে বড় অধিকার হচ্ছে ভোটের অধিকার। জ্বনগণের প্রত্যাশা হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব এই জ্বনগনের ভোটের অধিকার ফিরেয়ে দিয়ে একটি সংসদ নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করে যথা দ্রুত সম্বব বিদায় নেয়া। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে এই সরকারের উচিৎ সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেয়া এতে করে জ্বনগণও রক্ষাও পাবে মুক্তিও পাবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি এই সরকার বা সরকারে সমর্থিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নানা ভাবে ইলেকশনকে কেন্দ্র করে নানা রকমের ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। গত সোমবার মুন্সীগঞ্জ্ব শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দ্রত নির্বাচনের দাবিতে জেলা বিএনপির আয়োজ্বনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, গত ১৬ বছর এদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। অতীতে যখন নির্বাচন হয়েছে। দলগুলো তাদের মেনুফেস্টু নিয়ে আসতো। আর এখন যে সরকার ক্ষমতায় আছে তারা কোন নির্বাচিত সরকার নয়। তাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে জ্বনগনকে সুযোগ দেয়া। যাতে জ্বনগণ তাদের পছন্দ মতো জ্বনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে। আর নির্বাচিত সরকারই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিবে। জাতীয় সরকার আর স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনো ভাবেই একত্রে করা যাবে না। তিনি বলেন, এই দেশে প্রমাণ হয়েছে জ্বনগনের প্রিয়দল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আর দ্বিতীয় দল হলো আওয়ামী লীগ। আর এই আওয়ামী লীগ সরকার একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত করেছিল, তা হলো ফ্যাসিস্ট সরকার। এখন নেই কেন আওয়ামী লীগ। দেশের টাকা পয়সা পাচার করে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাইয়েদুল বাবুল। মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সিনহার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জাতীয়তাবাদী দলের ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, জেলা বিএনপির সদস্য শেখ মো. আব্দুল্লাহ, শহীদুল মৃধা, আব্দুল বাতেন শামীম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মজিবুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইদুর ভূইয়া ফকির প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত