ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ডিজিটাল ভূমি জরিপের সুফল পাবে বগুড়াবাসী

ডিজিটাল ভূমি জরিপের সুফল পাবে বগুড়াবাসী

দেশের বিভিন্ন জেলায় ইতোমধ্যেই ভূমি ব্যবস্থাপনায় এসেছে ডিজিটাল পদ্ধতির ছোঁয়া। তবে বগুড়ায় এখনো চলছে পুরনো ম্যানুয়াল জরিপ পদ্ধতি, যার ফলে ভূমি মালিকদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি ও জটিলতা। চার দশক আগে, ১৯৮৫ সালে শুরু হওয়া ভূমি জরিপ কার্যক্রম এখনও সম্পূর্ণ না হওয়ায়, অনেকে তাদের জমির বৈধ দলিল, দাগ নম্বর বা খতিয়ান পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলা নিয়ে গঠিত বগুড়া সেটেলমেন্ট জোনের আওতায় ১৭টি উপজেলার ২৪৮৯টি মৌজায় প্রায় ২৫ লাখ ৭৫ হাজার খতিয়ান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান জরিপ কার্যক্রমে অনিয়ম, ভুল তথ্য এবং ভুল রেকর্ডের অভিযোগ বেড়েই চলেছে। কিছু মৌজায় জমির পর্চা ও নকশার মধ্যে অমিল, আবার কিছু ক্ষেত্রে অন্যের নামে জমির রেকর্ড হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুত ডিজিটাল জরিপ কার্যক্রম শুরু করা হলে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মালগ্রাম মৌজার বাসিন্দা সাজু মিয়া বলেন, ডিজিটাল ভূমি জরিপ চালু হলে সরকারের রাজস্ব আদায়ে গতি আসবে। জমির প্রকৃত মালিকের সঠিক তথ্য রেকর্ডে আসবে, ফলে কর আদায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

একই সঙ্গে খাজনার নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারিত থাকায় অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের সুযোগ থাকবে না। বর্তমানে যেখানে ১০০ টাকার খাজনা দিতে গিয়ে ভূমি মালিকদের ১,০০০ টাকা পর্যন্ত গুণতে হয়, সেখানে ডিজিটাল ব্যবস্থায় অনলাইনে স্বচ্ছভাবে খাজনা পরিশোধ সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত