প্রবল শক্তিধর ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আঘাত হানার আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে অরক্ষিত উপকূলীয় জেলা বরগুনায় বিরাজ করছে আতঙ্ক। উপকূলীয় জেলা বরগুনার অদূরে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আতঙ্কিত করে তুলেছে বাসিন্দাদের। বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, বামনা, বেতাগী, তালতলী ও আমতলী উপজেলার অনেক স্থানের বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক আরও প্রকট হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড় শক্তি ২৮ মে দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা বরগুনায় থেমে থেমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে উপকূলীয় নিচু এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ২ দশমিক ৭ মিটার বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। প্লাবিত হওয়ার চিন্তায় ভাবিয়ে তুলছে দক্ষিণ উপকূলের বাসিন্দাদের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, বরগুনার ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে নলটোনা, গোলবুনিয়া, পালের বালিয়াতলী, কালমেঘা, রামনা এবং কালিকাবাড়ী নামক পাঁচটি জায়গায় প্রায় এক কিলোমিটার বাঁধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। পরিকল্পিত আর টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়তে হয় উপকূলবাসীর। বিষখালি নদীর তীরবর্তী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদী ফুলে রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে কিছু একটা হতে চলেছে। সরেজমিন দেখা যায়, বিষখালি নদীর তীরবর্তী হরিণঘাটা ও জিনতলা এলাকার শতাধিক ঘর বাড়ি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে ১০টি স্পট অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝারি মাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে প্রায় অর্ধশত স্পট। এসব বাঁধ ভেঙে গেলে তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বরগুনা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবজনিত বিষয়ে এখন পর্যন্ত উপকূলে কোনো ধরনের সংকেত ঘোষণা করা হয়নি।