ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

দিনাজপুরে খুশির খামারে ৩০ মণ ওজনের ‘প্রিন্স’

দিনাজপুরে খুশির খামারে ৩০ মণ ওজনের ‘প্রিন্স’

দিনাজপুরে আসন্ন ঈদুল আজাহা কে সামনে রেখে কোরবানির জন্য খুশির গরুর খামারে সবার দৃষ্টি কেড়েছে ‘প্রিন্স’ নামের এক বিশালদেহী গরু। ৩০ মণ ওজনের এই গরুটি এখনও পর্যন্ত দিনাজপুর জেলা শহরের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কালো-সাদা রঙের এই গরুটির জাত হলিস্ট্রিয়ান ফ্রিজিয়ান। প্রিন্সের উচ্চতা প্রায় সাড়ে নয় ফুট ও দৈর্ঘ্য আট ফুট। গত তিন বছর ধরে সন্তানতুল্য এই গরুটিকে বড় করেছেন মালিক খুশি রহমান। মাতাসাগর (নিশ্চিতপুর বড়দীঘি কেএস এগ্রো অ্যান্ড ডেইরি ফার্ম) খুশি খামারের একমাত্র আকর্ষণ এই হলিস্ট্রিয়ান ফ্রিজিয়ান গরু। ঘাস, কারী ও উন্নত খাবার খাইয়ে নিজের খামারে প্রিন্সকে লালন পালন করেছেন যত্নসহকারে। প্রিন্সের দেখাশোনায় রয়েছে নিয়মিত পরিচর্যা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ নজর। খাবারের তালিকায় রয়েছে সবুজ ঘাস, ভেজানো ছোলা, গমের ভুসি, খৈল, মিষ্টি কুমড়া, লাউসহ নানা ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য। প্রতিদিন ২-৩ বার গোসল করানো হয়। ব্যবহার করা হয় সাবান ও শ্যাম্পু। মশা যাতে কামড় না দেয় সেজন্য স্প্রে করা হয় মশানাশক ওষুধ। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এরইমধ্যে গরুটির জন্য প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ টাকা দাম হাঁকা হয়েছে। তবে এখনও বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন খুশি ফার্মের মালিক খুশি রহমান। খুশির ভাষায়, ‘আমি গরুটিকে শুধু ব্যবসার জন্য বড় করিনি, ভালোবেসে পালন করেছি। আশা করছি ভালো দাম পাব এবং একজন ভালো ক্রেতার কাছে প্রিন্স যাবে।’ ফ্রিজিয়ান জাতের এই গরুটি হাটে নিয়ে যাওয়া খুব কঠিন। কারণ গত তিন বছর বাইরে বের করা হয়নি। তাই তাকে হাটে নিয়ে গেলে সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে। তাছাড়া খামারেই গোসল দেওয়ার সময় বা পরিচর্যার সময় ৩-৪ জন লোক লাগে। সেক্ষেত্রে মালিক পক্ষ খামারেই বিক্রি করার কথা ভাবছেন। নিয়িমিত খামারে গিয়ে ক্রেতারা চোখ জুড়িয়ে আসছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত