ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কক্সবাজারে ৪৬০টি মানব পাচার মামলা বিচারাধীন

কক্সবাজারে ৪৬০টি মানব পাচার মামলা বিচারাধীন

কক্সবাজার জেলা আদালতের তিনটি ট্রাইব্যুনালে ৪৬০টি মানবপাচার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত আদালতে বিচারের জন্য ওঠা এসব মামলার সংখ্যা দেশে সর্বোচ্চ। দেশের সবচেয়ে বেশি মানবপাচার হচ্ছে কক্সবাজার উপকূল ব্যবহার করে সাগরপথে। দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে এ রুটে মানবপাচার হচ্ছে।

গত সোমবার কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে মানবপাচার রোধ ও ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা বিষয়ে এক কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডাব্লিউএলএ) এই কর্মশালার আয়োজন করে। বিএনডাব্লিউএলএ এর সভাপতি অ্যাডভোকেট সীমা জহুরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দিন শাহীন। কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন কক্সবোজার জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ইউনূছ, আবু হায়দার ওসমানী প্রমুখ। কর্মশালায মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প ম্যানেজার নাজমুল করিম।

পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, ‘কক্সবাজারের ২১টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মানব পাচারের ঘটনা ঘটছে। অভিযানের সময় কিছু সংখ্যক পাচারে জড়িত ব্যক্তি গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। পাচারকারীদের একটি ডেটাবেইজ করা হচ্ছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, মানব পাচার রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশআপাশি সমাজের সব পর্যায়ের মানুষের অংশগ্রহ জরুরি।

না হয় ভয়ঙ্কর এই অপরাধ দমানো সম্ভব নয়। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সীমা জহুর বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা আদালতগুলোতে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৪৬০টি মানব পাচার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। দেশে তা সর্বোচ্চ বলে জানান তিনি। কর্মশালায় জেলা পুলিশ, ডিবি, ডিএসবি, এপিবিএন, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, আইনজীবী, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ২০১৮ সাল থেকে আইওএমের সহযোগিতায় কক্সবাজারের দুইটি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির ও মহেশখালী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মানব পাচার প্রতিরোধে কাজ করছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সংস্থাটির জরিপে দুটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৫৭৪ এবং জেলার টেকনাফ, মহেশখালী, সদর ও উখিয়া ৮৩০ জন পাচারের শিকার ভিকটিম চিহ্নিত ও সেবা দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত