যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটিতে সম্প্রতি সংঘটিত অগ্নিসংযোগ ও সহিংস ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন যশোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল। গত মঙ্গলবার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন। এ সময় প্রত্যেক পরিবারকে তিন হাজার করে অর্থ সহায়তা দেন।
এ সময় অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেন, দেশে যখনই সংকট এসেছে, জামায়াতে ইসলামী সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থেকেছে। আমরা দলীয়ভাবে এই অসহায় মানুষের পাশে আছি এবং থাকব। শুধু তা-ই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পূর্ণ পুনর্বাসন ও ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- অভয়নগর থানা জামায়াতের সভাপতি র্সদার শরিফ হোসেন সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহউল ইসলামসহ জামায়াতের অমুসলিম শাখার নেতারা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তিন হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতেও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগিতার জন্য যশোর জেলা জামায়াতে ইসলামী এবং অধ্যাপক গোলাম রসুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জামায়াত নেতারা বলেন, এটাকে কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করছে যা ঠিক নয়। এটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নয় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে।
এ ধরনের সহিংস ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নেতারা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, খাদ্য-ত্রাণ সরবরাহ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
প্রসঙ্গত : যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটি গ্রামে কৃষকদল নেতা তরিকুল ইসলাম (৫০) হত্যার পর একদল সন্ত্রাসী গ্রামটির ১৩টি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালায় ও আগুন দেয়।
ঘর হারানো এসব পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। নিহত তরিকুল ইসলাম উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি ছিলেন। তিনি ধোপাদী গ্রামের ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। ঘটনার সূত্রপাত হয় মাছের ঘের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে।