নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ পরিবারের মাঝে কোরবানির পশু উপকার দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
গত শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার ২১টি শহিদ পরিবারের মাঝে একটি করে কোরবানির পশু (ছাগল) উপহার দেওয়া হয়। শহিদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব উপহার তুলে দেন এনসিপির নেতাকর্মীরা।
উপহার পাওয়া শহিদ পরিবারগুলো হচ্ছে- সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সুমাইয়া আক্তার, ইরফান ভূঁইয়া, পারভেজ হালদার, তুহিন, আহসান কবির। ফতুল্লা থানাযর মাবরুর হোসেন রাব্বি, আদিল, পারভেজ। আড়াইহাজার থানার আরমান মোল্লা, সজল মিয়া।
সদর থানার আবু হাসাইন মিজি। বন্দর থানার মো. স্বজন, সোনারগাঁও থানার মোহাম্মদ সাইফুল হাসান দুলাল, ইমরান হাসান, মো. রোমান, ইব্রাহিম, মো. জনি। আয়োজনের বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ও জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘আমরা সদস্যদের নিজস্ব অর্থায়নে ২১ জন শহিদের নামে কোরবানি করব। তারই অংশ হিসেবে শহিদ পরিবারে উপহার হিসেবে পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা মনে করি শহিদরা আমাদের প্রেরণা। তাদের যত স্মরণ করব, দেশ তত সঠিক পথে থাকবে। উপহার পেয়ে শহিদ পরিবারের স্বজনরা এনসিপি নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তাদের স্বরন করার জন্য। পরিবারের অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। জুলাই আন্দোলনে শহিদ তুহিনের স্বজনরা বলেন, ঘটনার দিন তুহিন গাড়ি নিয়ে চিটাগাং রোড গিয়েছিল। সেখানে হেলিকপ্টার থেকে গুলিতে স্পটেই মারা যায়। যারা আজ তুহিনকে স্মরণ করে কোরবানির পশু উপহার দিয়েছে তাদের ধন্যবাদ জানাই।
শহিদ আহসানুল কবিরের বাবা হুমায়ুন কবীর বলেন, আমার ছেলেটা ঢাবি থেকে মাস্টার্স করেছিল। ঘটনার দিন হাইওয়ের পাশে একটি মিছিল বের হয়েছিল। সে সামনে এগিয়ে যায়। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করলে সবাই সরে গেলেও আহসান সরেনি। তখনই বুকে গুলি লেগে মারা যায়। এনসিপির ছেলেরা যে আমাকে স্মরণ করে এই পর্যন্ত এসেছে এটা আমার স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শহিদ আদিলের বাবা আবুল কালাম বলেন, আমার ছেলে ১৯ জুলাই আন্দোলন চলাকালে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের এসবি গার্মেন্টসের সামনে পুলিশের গুলিতে মারা যায়। এনসিপি যে উদ্যোগ নিয়েছে শহিদদের স্মরণে রেখেছে এটা প্রশংসনীয়। এই শহিদরা স্বপ্ন নিয়ে আন্দোলনে গিয়েছিল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে এটাই প্রত্যাশা আমাদের।