আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচিত নাম সাকিব আল হাসান। লাল সবুজ দলের এই তারকা দীর্ঘদিন আইসিসির অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে রাজত্ব করেছেন। তিন ফরম্যাটেই এক নাম্বার জায়গাটি এ অলাউন্ডারের দখলে ছিল। তবে চোখের সমস্যা, ব্যবসা এবং রাজনীতিতে জড়িয়ে কিছুটা ছন্দ হারান তিনি। তারপর থেকে পারফরম্যান্স কমতে থাকে সাকিবের। এবার সাকিবের সেই জায়গা পুরণ করতে যাচ্ছেন আরেক বাংলাদেশি। আইসিসির টেস্ট অলরাউন্ডারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শীর্ষে পাঁচে আছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। গত বছর পাকিস্তান সফরে সর্বশেষ টেস্ট খেলা সাকিব আছেন পাঁচে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে র?্যাংকিংয়ে উন্নতি করেছেন এই অলরাউন্ডার। সেঞ্চুরি ও ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে এই সংস্করণের অলরাউন্ডারদের তালিকায় ক্যারিয়ার সেরা দুই নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। পুরুষ ক্রিকেটারদের র্যাংকিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ যথারীতি গতকাল বুধবার প্রকাশ করেছে আইসিসি। টেস্ট অলরাউন্ডারদের মধ্যে এক ধাপ এগিয়েছেন মিরাজ। ক্যারিয়ার সেরা ৩২৭ রেটিং পয়েন্ট এখন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের। শীর্ষে থাকা ভারতের রাভিন্দ্রা জাদেজার (৪০০) সঙ্গে তার পয়েন্টের ব্যবধান ৭৩। সিলেট টেস্টে টাইগারা হারলেও দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন মিরাজ। দুই ইনিংসেই পেয়েছিলেন পাঁচটি করে উইকেট। পরে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দলকে জেতান তিনি।
সাত নম্বরে নেমে ১০৪ রানের চমৎকার ইনিংসে দলকে লিড এনে দেন মিরাজ। পরে বল হাতে জিম্বাবুয়েকে ভোগান তিনি। অফ স্পিনে ৩২ রান দিয়ে একাই ধরেন ৫ উইকেট। গড়েন একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। এই স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার মিরাজ। তার আগে এই কীর্তি ছিল সাকিব আল হাসান (দুইবার) ও সোহাগ গাজীর। ওই সেঞ্চুরিতে টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাংকিংয়েও ক্যারিয়ার সেরা অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছেন মিরাজ। ৮ ধাপ এগিয়ে এখন আছেন ৫৫তম স্থানে। তার আগের সেরা অবস্থান ৬০ নম্বর।
চট্টগ্রামে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছিলেন সাদমান ইসলামও। ১২০ রানের ইনিংস খেলে ১৭ ধাপ এগিয়ে এখন ৬০তম স্থানে বাংলাদেশের ওপেনার। এক ধাপ করে উন্নতি হয়েছে মুমিনুল হক (৪৭তম) ও নাজমুল হোসেন শান্তর (৫২তম)। প্রথম ইনিংসে ৬৭ রান করা জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শন উইলিয়ামস দুই ধাপ এগিয়ে এখন ১৯তম স্থানে। ২০ ধাপ এগিয়ে সেরা একশতে ঢুকেছেন তার সতীর্থ বেন কারান (যৌথভাবে ৯৪তম)। টেস্ট ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আগের মতোই সবার ওপরে জো রুট। আর বোলারদের তালিকায় যথারীতি চূড়ায় ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ।
মিরাজ বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন দুই ধাপ, অবস্থান ২৪তম। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ৬০ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে ধরেন ৪২ রানে তিনটি। বাঁহাতি এই স্পিনার সাত ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ১৬ নম্বরে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আপাতত সবার ওপরে তিনি। ম্যাচে মোট তিন উইকেট নেওয়া নাঈম হাসানের অগ্রগতি ৬ ধাপ, অবস্থান ৫৪তম।
