প্রায় সোয়া কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত ঢাকা মহানগরী এরইমধ্যে অন্যতম মেগাসিটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। রাজধানী ঢাকায় যানজটের কারণে লোকসান আর ভোগান্তির কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। ঠিক কতটা অর্থনৈতিক লোকসানের মুখোমুখি হতে হচ্ছে, কতটা কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, মানুষ কতটা ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ নানা মুখী উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সরওয়ার, বিপিএম (সেবা) বলেন, নগরীতে যন্ত্রচালিত যানবাহনের সংখ্যা অনেক। এর পাশাপাশি অযান্ত্রিক যান রিকশার সংখ্যাও প্রচুর। দ্রুতগতির যান্ত্রিক যানের সঙ্গে একই সড়কে চলছে ধীরগতির যান। অনেক প্রতিবন্ধকতার মাঝে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা শহর অনেক জনবহুল, পরিবহনের সংখ্যাও অনেকে বেড়ে চলছে। আমরা শহরের প্রতিটি সড়ককে যানজটমুক্ত রাখতে ফুটপাত দখলমুক্ত, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অবৈধ কার পার্কিং, নির্দিষ্ট সময়ের আগে ট্রাক ও লরি শহরে প্রবেশ না করানোসহ নানা উদ্যোগ জোড়ালোভাবে পালন করা হচ্ছে। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে যততত্র পশু বহনকারী গাড়ি থামানো যাবে না এবং নির্দিষ্ট জায়গায় পশু ওঠানামা করাতে হবে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক মো. সরওয়ার বলেন, পুরো ঢাকাকে যানজটমুক্ত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। সকাল ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আমি স্বশরীরে নগরের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান করি। তিনি বলেন, জনগণের সেবা করার জন্যই আমরা দায়িত্ব পালন করি। মানুষের আস্থা ও বসবাসের উপযোগী হিসেবে ঢাকাকে সাজাতে চাই। আমরা আপনাদের সেবার জন্য পাশে আছি। একই সঙ্গে আমরাও আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি। তরুণদের উদ্দ্যেশে তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্ম দেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তরুণদের অন্তরে সদা জাগ্রত থাকে দুর্বার তারুণ্য। তরুণদের একটি রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড বলা চলে। কেননা, এই তরুণ সমাজের হাতে তৈরি হবে ভবিষ্যতের উদাত্ত পৃথিবী। তরুণের হৃদয়ের দীপ্যমান প্রদীপের শিখায় আলোকিত হয় সমাজ, রাষ্ট্র কিংবা বিশ্ব মাজার।