ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

বেগুনের সঙ্গে মুখিকচু চাষে কৃষক লাভবান

বেগুনের সঙ্গে মুখিকচু চাষে কৃষক লাভবান

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার পূর্ব রূপশঙ্কর গ্রাম। এ গ্রামের বাসিন্দা কৃষক তৈয়ব আলী। তার বাড়ির পাশে প্রায় ২০ শতকের জমি। এ জমি আবাদ করে তিনি ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় রোপণ করেন ললিতা জাতের বেগুন। মাঠ পরিদর্শন গিয়ে কৃষক মো. তৈয়ব আলীর সঙ্গে কথা হয় উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামীমুল হক শামীমের। তিনি ওই কৃষককে পরামর্শ দেন বেগুন গাছের ফাঁকে ফাঁকে মুখিকচুর বীজ রোপণের জন্য। পরামর্শ গ্রহণ করে বেগুন গাছের ফাঁকে ফাঁকে মুখিকচুর বীজ রোপণ করেন। কিছু দিন যেতেই মুখিকচুর গাছ গজায়। গাছে গাছে বেগুন ধরা পড়েছে। গাছ থেকে বেগুন সংগ্রহ করে নিয়ে বাজারে বিক্রি করা হ”েছ। সেইসঙ্গে মুখিকচুর গাছ বড় হচ্ছে। সরেজমিন গেলে এসব তথ্য জানিয়ে কৃষক তৈয়ব আলী বলেন- বেগুনের সঙ্গে মুখিকচু এই প্রথম চাষ করেছি। এখানে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামীমুল হক শামীমের পরামর্শ গ্রহণ করে আমি উপকৃত হয়েছি। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪০ টাকায় বিক্রি করছি। এভাবে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করার আশা করছি। বেগুন বিক্রি শেষে গাছ উঠিয়ে ফেলার পর মুখিকচু থাকবে। মুখিকচু বিক্রি থেকেও ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব চাষে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এখানে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশাবাদী।

তিনি বলেন- ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। তাই একই জমিতে এক সঙ্গে একাধিক ফসল চাষ করা প্রয়োজন। এখন থেকে এভাবে ফসল চাষ করতে চাই। এভাবে চাষে লাভবান হওয়া সম্ভব। কারণ একটি ফসল ক্ষতি হলেও অন্য ফসল বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামীমুল হক শামীম বলেন- মাঠে পরিদর্শনে গেলে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা চিহ্নিত করি। সে অনুযায়ী কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করে থাকি। কৃষকরা আমার পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করেন। পরে জমি আবাদ করে একই জমিতে একাধিক ফসল চাষ করেন। এভাবে চাষাবাদে কৃষকরা লাভবান হ”েছন। এখানে কৃষক তৈয়ব আলী ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় একই জমিতে ললিতা বেগুনের সঙ্গে মুখিকচু চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার চাষাবাদ দেখে গ্রামের অন্যান্য কৃষকরাও এভাবে চাষাবাদ করতে আগ্রহী হয়েছেন।

মুখিকচু,কৃষক
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত