জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে প্রথম দিনেই একটি নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছে মাইশা আক্তার মীম। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) এই সাঁতারু ১৩ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।
মিরপুর জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে গতকাল বুধবার পর্দা উঠেছে ৩৭তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতার। প্রথম দিনেই অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৪টি ইভেন্ট। বিকেএসপির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইশা তিনটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে সবক’টিতেই স্বর্ণ পদক জিতেছেন। এর মধ্যে বালিকাদের ১৫-১৭ বছরের বিভাগে ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
হ্যান্ড টাইমিংয়ে হওয়া প্রতিযোগিতায় ফ্রি স্টাইলে ১ মিনিট ৭ দশমিক ৫৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেছেন মাইশা। ভেঙেছেন বাংলাদেশ আনসারের নাজমা খাতুনের গড়া রেকর্ড। তিনি ২০১২ সালে ১ মিনিট ৭ দশমিক ৬০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাঁতার শেষ করেছিলেন। এছাড়া, ২০০ মিটার ইনডিভিজ্যুয়াল মিডলে ও ৪০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে স্বর্ণ পদক জিতেছেন মাইশা।
সেরা হলেও নিজের টাইমিং নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি মাইশা। আক্ষেপ নিয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আজ যে টাইমিং করেছি, সেটা আরেকটু ভালো হতে পারত। কিন্তু আমি খুব নার্ভাস ছিলাম।’ এই নিয়ে চতুর্থবার বয়সভিত্তিক সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন মাইশা। জাতীয় বয়সভিত্তিকের গত আসরে তিনি সাতটি সোনা ও দুটি রুপা জেতেন। পাশাপাশি দুটি ইভেন্টে গড়েছিলেন রেকর্ড। সেই সাফল্যকে ছাপিয়ে এবার আরও উঁচুতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি, ‘এবার নয়টি ইভেন্টে সবক’টিতেই সোনা জিততে চাই। এবার সেরা সাঁতারু হতে চাই।’ চার দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সুইমিং ক্লাব, বিকেএসপিসহ মোট ৮০টি দলের প্রায় ৫৫০ জন সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। বালক ও বালিকা বিভাগে পাঁচটি করে গ্রুপে ১০৪টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার মধ্যে সাঁতারে ১০০টি ও ডাইভিংয়ে চারটি।