বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নায়িকা ববিতা দীর্ঘদিন ধরেই নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয় করছেন না। এ নিয়ে তার কোনো আক্ষেপও নেই। রাজধানীর গুলশানে নিজের বাসাতেই নিজেরই মতো করে সময় কাটছে নন্দিত এই নায়িকার। প্রতিদিন কানাডায় থাকা একমাত্র ছেলে অনিকের সঙ্গে কথা বলে, ঘরের নানান কাজ করে, টিভি দেখে, দেশ
বিদেশের সিনেমা দেখে সময় কাটে ববিতার। পাশাপাশি মাঝে মাঝে পুরোনো দিনের অনেক স্মৃতিই চোখে স্পষ্ট হয়ে উঠে প্রায়ই। সেসব দিনের কথা, সেসব স্মৃতি রোমন্থন করে করেই বেশ ভালো সময় কেটে যায় তার। ক’দিন পরই কোরবানীর ঈদ। তা নিয়েও যেন রয়েছে ববিতার ব্যস্ততা। সবমিলিয়ে সিনেমাতে অভিনয় না করলেও ববিতা যে একেবারেই ভীষণ অবসর সময় কাটাচ্ছেন এমনটা নয়। এই সময়ে এসেও তার প্রতিদিন বেশ ব্যস্ততাতেই কাটছে। ববিতা বলেন, ‘সত্যি বলতে কী সিনেমাতে অভিনয় করছিনা বলেই যে খুউব অবসর আমার এমনটা নয়। নিজের ঘর বাড়ি নিয়েও আমার ব্যস্ত সময় কাটে। এছাড়া সুচন্দা আপা, চম্পা ও তাদের সন্তানদের ঘিরেও কিন্তু আমার প্রায়ই অনেক সময় কাটে। কখনো কখনো তারা সবাই আমার বাসায় চলে আসেন। আবার কখনো কখনো আমিও তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে যাই। নিজেরা নিজেরাই গল্পে আড্ডায় মেতে উঠি। দারুণ সময় কাটে। আবার ঘরের নানান কাজ শেষে আমি টিভি দেখি, দেশ বিদেশের খবর রাখি।
আর নিয়ম করে অনিকের সঙ্গে কথাতো হয়ই। এরপরও যখন একদমই একা থাকি তখন আসলে ফেলে আসা দিনের অনেক স্মৃতি মনেপড়ে। মনে পড়ে খুউব ছোট্টবেলার কথা, মনে পড়ে বাবার কথা, মায়ের কথা। কী চমৎকার পরিপাটি একটা সুন্দর পরিবার ছিলো আমাদের। সময়ের ধারাবাহিকতায় আমাদের ভাই বোনদের আলাদা আলাদা পরিবার হয়েছে। যে যার মতো ব্যস্ত থাকলেও আমাদের মধ্যে যোগাযোগটা কিন্তু নিয়মিতই আছে। অবসর সময়ে কিন্তু আমার চলচ্চিত্র জীবনের কথা খুব মনেপড়ে। মনেপড়ে শ্রদ্ধেয় জহির রায়হান ভাই, রাজ্জাক ভাই, ফারুক ভাই, বুলবুল ভাই’সহ অনেক সহশিল্পী ও নির্মাতাদের কথা। আমার পরম সৌভাগ্য যে এদেশের প্রতিথযশা গুনী চলচ্চিত্র পরিচালকদের নির্দেশনায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এমনকী অস্কারবিজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাতেও কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আসলে অবসরে ফেলে আসার দিনের কতো কতো কথা যে মনেপড়ে, তা বলে শেষ করা যাবেনা।