ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কঠোর হচ্ছে বিএনপি

কঠোর হচ্ছে বিএনপি

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে প্রায় ১০ মাস। এখনও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে পারেনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসা বিএনপি এখনও ধৈর্য ধরে থাকলেও বর্তমান বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন প্রলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা করছে। অবিলম্বে ত্রয়োদশ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ না দিলে খুব শিগগিরই রাজপথে নামার পরিকল্পনা করছে দলটি। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের বক্তব্যে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সম্প্রতি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে। তারেক রহমান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে কি না, এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। সরকারের চিন্তা এবং কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণ অন্ধকারে থাকায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা বাড়ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের ভোটে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা করা না গেলে পতিত পলাতক স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করা সহজ হবে না। তবে তিনি একই সঙ্গে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, লোভ-লাভের প্রলোভনমুক্ত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অচিরেই জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে বাংলাদেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালন করবে। তারেক রহমানের এই বক্তব্য নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রতি এক ধরনের ‘বার্তা’ বলে মনে করছেন অনেকে।

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সংস্কার বা নির্বাচন নয়; ভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে সরকার। দলের সিনিয়র নেতারা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে টালবাহানা হচ্ছে। উপদেষ্টারা নির্বাচন নিয়ে একেক সময় একেক কথা বলছেন। দলটির নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে টালবাহানা করছে। নির্বাচনের কথা বললেই তারা সংস্কারের ইস্যু সামনে আনে। কিন্তু সংস্কারের প্রক্রিয়াও ধীরগতিতে এগোচ্ছে। একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কোন সংস্কারগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে করতে চায়, সরকার সেটিও বলছে না। সরকারের মতিগতি দেখে মনে হচ্ছে, তারা থেকে যেতে চায়। সুতরাং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নির্বাচনের দাবিতে আমাদের আবার হয়তো মাঠে নামতে হতে পারে। মনে হচ্ছে, পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে।

বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, অবনতিশীল ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি উত্তরণে নির্বাচনই একমাত্র পথ। দলটির নেতারা বলছেন, সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে সরকারের উচিত সংকট উত্তরণে দ্রুত সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিয়ে দেশকে নির্বাচনমুখী করা। তবে সরকার নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করলে তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে। দলটি মনে করে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।

জানা গেছে, নির্বাচন ঠিক কবে হবে কিংবা সরকার নিজেদের দেয়া রোডম্যাপের ধারণার মধ্যে নির্বাচন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দলটির মধ্যে উৎকণ্ঠা ক্রমাগত বাড়তে থাকলেও আরও কিছুদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলটির প্রত্যাশা, সরকার অচিরেই রোডম্যাপের ব্যাপারটি স্পষ্ট করবে। দলটি এও মনে করে, সরকারের এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করা উচিত নয়, যেখানে নির্বাচনের দাবিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আবার রাস্তায় নামতে হয়। তেমনটা হলে তা খুবই বিব্রতকর হবে।

সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গণতন্ত্রে উত্তরণের যখন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তখন একটা কালো ছায়া এসে দাঁড়াচ্ছে। সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন, জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, বিভাজনের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে। গোত্রে গোত্রে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের মধ্যে কিছু অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরস্পরের মুখোমুখি করার একটা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সজাগ থাকতে হবে, সেইসঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে, সমস্ত চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য। সীমান্তের ওপার থেকে যে ষড়যন্ত্র চলছে- সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে। কেউ যেন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৗমত্ব বিলীন করতে না পারে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বর্তমান সরকারের হাতে নিরাপদ নয়। আগে ছিলাম কুকুরের মুখে, এখন পড়েছি বাঘের মুখে। সিন্দাবাদের বুড়োর মতো এ সরকার আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে, নেমে যেতে চায় না। তাই আমাদের ঘাড় থেকে তাদের ঝাঁকি দিয়ে নামাতে হবে।’ দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আপনি কি চান নির্বাচনের জন্য আপনার সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি হোক? এ দেশের জনগণ যমুনামুখী লংমার্চ করুক?’ তিনি ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। গত কয়েক দিনে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতারা এভাবেই তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে গত ১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বৈঠকের পর ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করে কঠোর কর্মসূচিতে না যাওয়ার কথা বললেও সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। এরই অংশ হিসেবে দলটির শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন সভাসমাবেশ থেকে সরকারের কড়া সমালোচনা করছেন এবং সংকট উত্তরণে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে প্রায় সব শ্রেণির নেতাই সভাসমাবেশ থেকে সরকারের কঠোর সমালোচনা অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, মানবিক করিডর ইস্যু, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, নানা দাবিদাওয়া, সার্বিক পরিস্থিতিতে দেশ পর্যায়ক্রমে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। উদ্বিগ্ন দলটির শঙ্কা, ঘটনাক্রম যেভাবে এগোচ্ছে, আগামীতে তা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এতে নির্বাচন নিয়ে যে জনআকাঙ্ক্ষা এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের যে পথ, তা আরও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে পারে। সরকারের মেয়াদের নয় মাসেও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করাটাই একটা রহস্য। তারা বলেন, সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন প্রলম্বিত করতে চায় সরকার। জামায়াতে ইসলামীসহ আরও দুয়েকটি দলের ভূমিকাও অস্পষ্ট। এ অবস্থায় নির্বাচন আদৌ হবে কি না তা নিয়েও সন্দিহান অনেকে। সবাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রয়েছেন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। আবার নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের গন্ধও পাওয়া যাচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে, দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে। সবাই মিলে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে। এরপর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনার যে প্রত্যাশা ছিল, তা হয়নি। সরকার এমনভাবে কাজ করছে যেন তারা একটি নির্বাচিত সরকার। অথচ এটি একটি অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের দায়িত্ব ছিল একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘সরকারকে বলব, ডানে-বাঁয়ে সব দিকে তাকিয়ে যথাযথভাবে দেশ শাসন করুন। না হলে কেউ রক্ষা পাবেন না।’

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সরকার নির্বাচনি রোডম্যাপের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ না করার পেছনে কারণ রয়েছে। তারা হয়তো দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার চিন্তা করছে। এ কারণে নির্বাচনি রোডম্যাপ নিয়ে কথা বলতে চাইছে না। দলটির নেতারা মনে করছেন পরিস্থিতি দিন দিন সরকারের অনুকূলের বাইরে চলে যাচ্ছে। এভাবে চললে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। এক্ষেত্রে যথা সময়ে একটি নির্বাচনই সমাধান হতে পারে। কিন্তু সরকার সেদিকে ভ্রূক্ষেপ করছে না। নেতারা বলছেন, ভোট বিলম্বিত করার কোনো প্রক্রিয়া মেনে নেবেন না তারা। এমন কোনো প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হলে দলীয়ভাবে কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সমমনা দলগুলোও বিএনপির সহযোগী হবে। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

ওদিকে সংস্কার বাস্তবায়নের পর নির্বাচন চায় গণঅভ্যুত্থানে অন্যতম অংশীদার ছাত্রদের দল এনসিপি। দলটির নেতারা দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে নন। নবগঠিত এই দলটি চায় নিজেদের সব প্রস্তুতি সেরে নির্বাচনে অংশ নিতে। আন্দোলনের আরেক অংশীদার জামায়াতের অবস্থানও স্পষ্ট নয়। দলটির নেতারা একেক সময় একেক বক্তব্য দিচ্ছেন। সর্বশেষ গতকাল বলা হয়েছে, নির্বাচন দেওয়ার মতো এখনও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়নি। এই দুই দলের অবস্থানকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছে বিএনপি। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। জনগণের ভোটে, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা করা না গেলে পতিত পলাতক স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করা সহজ হবে না।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের ইস্যুতে বিএনপি অনেক ধৈর্য ধরেছে। ভোট নিয়ে সরকারের ভেতরে এখন ভিন্ন চেহারা দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। দলের অভ্যন্তরে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারকে চূড়ান্ত বার্তা দিতে চায় দলটি। ওদিকে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে পলাতক স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসরদের মোকাবিলা করা যাবে না বলে মনে করছে বিএনপি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার অযথা এই পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে বলেও মনে করছে দলটি। সরকার ক্ষমতার লোভ এবং প্রলোভনেও পড়েছে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের মধ্যে বিভিন্ন পক্ষের নানা দাবি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বলে মনে করছে বিএনপি। দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, বিভিন্ন পক্ষ নানামুখী এজেন্ডা নিয়ে ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সরকারের ওপরে ভর করেছে। ফলে পরিস্থিতি থেমে থেমেই অস্থির হয়ে উঠছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নির্বাচনই একমাত্র পথ বলে মনে করে দলটি। নেতারা বলছেন, সরকারের মেয়াদের নয় মাসেও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করাটা একটা ‘রহস্য’। তাই এই ইস্যুতে সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে দলটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের বিচার না পর্যন্ত নির্বাচন হবে না। কেউ যদি এমন দাবি জানায় তাহলে কি বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোট হবে না? সরকার কি এই দাবি মেনে নেবে? সেই পরিস্থিতিতে বিএনপি যদি নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে নামে তাহলে পরিস্থিতি কোথায় যাবে। জনগণ যদি সরকারকে ঘেরাও করে তখন পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এই অবস্থায় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলে ভোট নিয়ে ধোঁয়াশা আরও বাড়বে।

বিএনপি,আওয়ামী লীগ,সংসদ নির্বাচন,অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত