সাবিনা খাতুন, মাসুরা পারভীন, নিলুফা ইয়াসমিন নীলারা না থাকলেও ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দারা আছেন। সবশেষ সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের দলের চেয়ে তাই বর্তমান দলে ভারসাম্য দেখছেন আফঈদা খন্দকার। শক্তিশালী ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ভালো ফল পাওয়ার আশাও করছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক। এই প্রথম ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ, ফলে অন্যরকম রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষার কথা আগেই শোনা গিয়েছিল মেয়েদের কণ্ঠে। সে অপেক্ষার ক্ষণ তাদের ফুরাচ্ছে। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় প্রীতি ম্যাচে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে কিং আব্দুল্লাহ (২) স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।
জুন-জুলাইয়ে মিয়ানমারে হতে যাওয়া উইমেন্স এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল মেয়েরা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়া (৯৪তম) ও জর্ডানের (৭৪তম) বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে সে চাওয়াও পূরণ হচ্ছে তাদের। র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকলেও আত্মবিশ্বাসের কমতি অবশ্য নেই বাংলাদেশের (১৩৩তম)। জর্ডানে পৌঁছে চার দিনের প্রস্তুতিতে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে পেরেছে মেয়েরা। গত নারী সাফের পর টালমাটাল সময় পেরিয়ে দলের মধ্যে এখন ঐক্যেও ফিরেছে বলে মনে হচ্ছে সহকারী কোচ মাহমুদা আক্তার অনন্যার। ‘আশা করছি, কাল ভালো একটা ম্যাচ খেলে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ব। এই আশা নিয়েই আমরা এগুচ্ছি। টিমের বন্ডিংও ভালো। গতবার দুবাইয়ে যখন খেলেছি, তখন অল্প কয়েকজন সিনিয়র ছিল দলে। এবার সিনিয়রদের অনেককে পেয়েছি, জুনিয়রও আছে। টিম কম্বিনেশন ভালো।’
ওই ‘বিদ্রোহ’র জেরে গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে দুবাই সফরে বাংলাদেশ গিয়েছিল একেবারে তরুণ দল নিয়ে। দুই ম্যাচেই স্বাগতিকদের বিপক্ষে হেরেছিল ৩-১ গোলে। টানাপোড়েনের শেষ হওয়ায় বর্তমান দলে ফিরেছেন দুই সাফ জয়ী ঋতুপর্না, মনিকা, মারিয়া, শামসুন্নাহার জুনিয়র, মারিয়া মান্দা, শিউলি আজিমসহ নয় জন। অভিজ্ঞ ও নতুনের মিশেলে দলে ভারসাম্য ফেরায় ভালো ফলের স্বপ্ন দেখছেন অধিনায়ক আফঈদাও। ‘আমরা অনেক দিন আগে এখানে এসেছি, যাতে আমরা এখানকার আবহাওয়া ও কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে পারি। কোচ আমাদের সেভাবেই প্র্যাকটিস করিয়েছেন। কাল আমাদের প্রথম ম্যাচ। এ ম্যাচের জন্য আমরা এতদিন পরিশ্রম করেছি, ইনশাল্লাহ ভালো কিছু হবে। দুবাই সফর থেকে আমাদের (বর্তমান) দল ভালো। সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে ভালো এবং শক্ত একটা দল আমাদের।’