ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ফারুকের অপসারণের কারণ জানালেন উপদেষ্টা

ফারুকের অপসারণের কারণ জানালেন উপদেষ্টা

৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ফারুক আহমেদ বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত পাওয়ার ৯ মাসের মধ্যেই পদ হারিয়েছেন। তার জায়গায় গত শুক্রবার বিসিবির ১৭তম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ৯ পরিচালকদের অনাস্থা প্রস্তাবের কারণে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে। অথচ এই সংস্থার কোটাতেই বোর্ডে এসেছিলেন তিনি। গত ৯ মাসে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স তলানিতে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতার পর পরের সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ প্রত্যাশা মতো পারফরম্যান্স করতে পারেনি। আরব আমিরাতের মতো দলের কাছেও সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। ফারুকের মনোনয়ন বাতিল নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া পারফরম্যান্সকেই সামনে এনেছেন, ‘আপনার দেখেছেন বিসিবি নয়জন পরিচালকের মধ্যে আট জনই সদ্য বিদায়ী বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে। এখানে (ক্রিকেট বোর্ডে) আসলে কোনও টিম হয়নি। ক্রিকেটে যেমন এগোরজন মাঠে খেললে টিম হয়। বিসিবিতেও একটা টিমের প্রয়োজনীয়তা আছে।

বিসিবিতে যারা ফ্যাসিবাদী সরকারের সংশ্লিষ্ট ছিল তারা সবাই ৫ আগস্টের আগেই পালিয়েছে। তারপরও বাকি যারা আছেন। আট নয় জন পরিচালক। তারা কেউই আসলে তার (ফারুকের) সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না। এই পরিস্থিতিতে আমরা দেখছি বাংলাদেশ ক্রম অবনতিও একটা বড় কারণ। এরপর বোর্ডের আবেদন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের যে বর্তমান পরিস্থিতি এবং বিপিএল সংক্রান্ত সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন আলোকে আমাদের একটা সিদ্ধান্তে আসতে হয়েছে। ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। এটা এমন কোনও কারণ না যে দুর্নীতি বা কোনও কারণে সরিয়েছি। এটা একদমই পারফর্মের ভিত্তি হিসাবে।’

ক্রিকেট দলে খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে নির্বাচকরা যেমন ক্রিকেটারদের বিবেচনা করেন না। ঠিক সেভাবে বোর্ডেও পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, ‘আপনার যদি দেখেন নির্বাচক কমিটি প্রতিনিয়ত খারাপ পারফর্ম করা একজন ক্রিকেটারকে তো আর দলে বিবেচনায় করবে না।

তো আমাদের দিক থেকেও ব্যাপারটি এই রকমই ছিল। আবারও ক্রিকেট সংশ্লিষ্ঠ যারা অংশীজন আছে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।’ ফারুকের অনিয়ম সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেছেন, ‘বিপিএলের সদস্য সচিব ছিলেন নাজমুল আবেদীন ফাহিম ভাই। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় দুর্বার রাজশাহীকে দল দেওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম। তারপরও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে তিনি (ফারুক) দলটাকে সুযোগ দিয়েছিলেন। সরকার পর্যন্ত ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দেওয়া, হোটেল বিল দেওয়ার বিষয়ে যুক্ত থাকতে হয়েছে। এবং একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যেটা আমরা কেউই চাইনি। আমাদের সরকার প্রধানের বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচে আসার কথা। বিপিএল কেন্দ্রিক পরিস্থিতি এমন হওয়ার কারণে তাকে আনতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য, বোর্ডের জন্য লজ্জাজনক বিষয়।’

ফারুকের অপসারণ,ক্রীড়া পরিষদ,বিসিবির সভাপতি,ক্রীড়া উপদেষ্টা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত