চার দশক পর নতুন করে জেগে উঠেছে বাংলাদেশের ফুটবল। লাল সবুজের ফুটবলকে জাগিয়ে তুলেছেন ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার হামজা দেওয়ান চৌধুরী। এবার তার সঙ্গে যোগ হচ্ছেন আরও দুই প্রবাসী ফুটবলার। তারা হলেন, কানাডার সামিত সোম ও ইতালির ফাহমিদুল ইসলাম।
এই তিন প্রবাসীর শক্তিতে ভর করে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে দারুণ প্রাপ্তির হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। জিততে পারলে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে তৃতীয় রাউন্ডে গ্রুপের শীর্ষে ওঠার সুযোগ। হামজা চৌধুরী, ফাহামিদুল ইসলাম, সামিত সোমকে সঙ্গে পেয়ে দলের বাকিরাও দারুণ আত্মবিশ্বাসী। আগামী বুধবার ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার পর ১০ জুন সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
ম্যাচ দুটি সামনে রেখে গতকাল শনিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথম দিনের অনুশীলন করেছেন জামাল-রহমতরা। বৃষ্টির বাগড়ায় আসছে দুই ম্যাচের ভেন্যু ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে এদিন অনুশীলন করতে না পারায় কিছুটা হতাশ রহমত। ‘জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন হবে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা এটাই জানতাম। কিন্তু আবহাওয়ার ওপর তো কারো হাত নেই। বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। সেজন্য সূচি ও প্রস্তুতির ভেন্যু বদলে গেছে। ওখানে অনুশীলন করতে পারলে ভালো লাগত, কিন্তু এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’
২৬ জনকে নিয়ে শুরু হওয়া ক্যাম্পে এখনও যোগ দেননি হামজা ও সামিত। ইংল্যান্ড থেকে শুক্রবার হামজার ও রোববার কানাডা থেকে সামিতের ঢাকায় পা রাখার কথা। ইতালির সেরি ডি’তে খেলা ফাহামিদুল অবশ্য এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন ক্যাম্পে। এই তিন প্রবাসীকে নিয়ে দলকে আরও আত্মবিশ্বাসী দেখছেন রহমত। ‘যেহেতু হামজা আমাদের সঙ্গে খেলেছে, সামিত সোমও আসছে, এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। এটা আমাদের দলের জন্য ভালো হচ্ছে। এতে স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে অনুপ্রেরণা ও বুস্টআপ কাজ করছে। আমি মনে করি, হামজার সাথে সোম বা যারা আসছে, সেটা আমাদের দলের জন্য ভালো এবং আশা করি, আমরা সবাই মিলে ভালো একটা ফল করব।’
প্রবাসী খেলোয়াড়রা থাকায় ফুটবলপ্রেমীদের প্রত্যাশার পারদ এখন আগের চেয়ে উঁচুতে চড়ছে। রহমতও তা অনুভব করতে পারছেন। তবে সমর্থকদের প্রত্যাশাকে চাপ হিসেবে নিচ্ছেন না ২৫ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার। ‘আমাদের যে সমর্থকরা আছেন, দর্শকরা আছেন, আমাদের যে সমর্থন তারা দিচ্ছেন, তাদের প্রত্যাশাও এখন অনেক উঁচুতে।
আমাদের একটা মিটিং হয়েছে, এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আগের মানুষের প্রত্যাশা আর এখনকার মানুষের চাওয়াটা এক জায়গায় নেই। মানুষ আরও প্রত্যাশা করছে, বেশি চাচ্ছে।
আমরা সবাই আরও বেশি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আরও ভালো কিছু করার জন্য, নিজেদের জায়গা থেকে যতটুকু মান উন্নত করা যায়, সেই চেষ্টা করব। এটা দুই দিক (চাপ ও অনুপ্রেরণা) থেকে কাজ করে। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে সমর্থকদের প্রত্যাশা যদি পূরণ করতে না পারি, তারা আশাহত হবে। যদি পূরণ করতে পারি, তারা আমাদের আরও বেশি সমর্থন করবে। দুটো দিকই আছে। আমরা ভয়ের দিক না দেখে আলোর দিক দেখি, চেষ্টা করে যাই, দেখা যাক কী হয়।’